চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার জন্য চট্টগ্রাম থেকে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থী পাড়ি জমান দেশের বাইরে। অনেকেই চলে যেত রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু সময় পাল্টেছে। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষায় নতুনত্ব এনেছে সিআইইউ। আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষা, গুণগতমান, যুগোপযোগী সিলেবাস আর সময়ের আগে এক ধাপ এগিয়ে থাকার কারণে এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ)।’
তিনি আরো বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে চট্টগ্রামে সেরা এখন সিআইইউ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সিআইইউতে ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক রয়েছেন। সংস্থাটির মতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপাতে এটিই উপযুক্ত মানদণ্ড। চট্টগ্রামের অন্য কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি।’
উচ্চ শিক্ষায় কতটুকু অবদান রাখতে পেরেছে সিআইইউ, এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। দক্ষ লোকবল নিয়োগ ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। আমাদের হাতে নেয়া পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে দুই বছর পর এখানে বদলে যাবে শিক্ষার পুরনো চেহারা। তাই বেশি বেশি গবেষণামূলক কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। দক্ষ জনশক্তি হয়ে গড়ে তুলছি শিক্ষার্থীদের। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সিআইইউতে সিভিক কালচার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে সিআইইউ চট্টগ্রামে মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়িয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সাধারণত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্থায়ী শিক্ষক থাকেন না। আমি উপাচার্য হওয়ার পর স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। প্রতিটি স্কুলের ডিন পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, সবাই অভিজ্ঞ।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী সিন্ডিকেট, একাডেমিক কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটিসহ একাধিক পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল তৈরি করেছি। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসে অস্থায়ী শহীদ মিনার, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে নতুনভাবে পাঁচ-ছয়টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা, নতুনভাবে অডিটোরিয়ামের সংস্কার, ছাত্রছাত্রীদের জন্য কমন রুম তৈরি, স্কুল অব ল ও স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের জন্য ক্লাসরুম বৃদ্ধি, ক্যান্টিন প্রতিষ্ঠা, ফুলের বাগান, ফুড কর্নার ও ফ্যাকাল্টিদের জন্য লাউঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেছি।’