সশস্ত্র সংঘাতের আইন মেনে চলবে ইসরায়েল, প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন আশা করে যে সশস্ত্র সংঘাতের আইন অনুসরণ করবে ইসরায়েল। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কথা বিবেচনায় রাখবে তারা

গাজায় হাজার হাজার নারী ও শিশুর মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে তেল আবিব। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ওয়াশিংটন আশা করে যে সশস্ত্র সংঘাতের আইন অনুসরণ করবে ইসরায়েল। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কথা বিবেচনায় রাখবে তারা। খবর আলজাজিরা।

গতকাল (২০ নভেম্বর) সোমবার ইউক্রেন সফরকালে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন অস্টিন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে আক্রমণে ইসরাইল যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র ব্যবহার করছে তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কিনা।

জবাবে অস্টিন বলেন, সব সময় বলে আসছি যে আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে ইসরায়েলিরা সশস্ত্র সংঘাতের আইন অনুযায়ী ইসরায়েল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

আরো জানান, ইসরায়েলকে ‘অবশ্যই বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জবাবদিহি করতে হবে’ বলে তারা বরাবরই বলে এসেছে। সঙ্গে যোগ করেন, গাজার জনগণ যাতে মানবিক সহায়তা পেতে পারে সেই লক্ষ্যে ‘ইসরায়েলের যা কিছু করা উচিত তার সবকিছু করতে হবে’।

‘হামাস ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমান নয়’ উল্লেখ করে অস্টিন বলেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আরো ভালো কিছু প্রাপ্য।

এদিকে গতকাল গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩০০-এর বেশি হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৬০০ শিশু ও তিন হাজার ৫৫০ জন নারী। নিহতদের মধ্যে ২০১ চিকৎসা কর্মী, ২২ জন উদ্ধারকর্মী ও ৬০ জন সাংবাদিক রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি।

৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে গাজা উপত্যকায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এ অঞ্চলে বিমান ও স্থল হামলায় বাসস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ ও গীর্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এদিকে সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলি পক্ষে মৃতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০।

আরও