বিএনপি ভোটে এলে পুনঃতফসিল নিয়ে বিবেচনা করবে ইসি —রাশেদা সুলতানা

বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলে পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে বিএনপিকে ফরমালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) ভোটে আসার কথা জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ দপ্তরে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা জানান।

বিএনপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলে পুনঃতফসিল দেয়ার কথা বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে বিএনপিকে ফরমালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) ভোটে আসার কথা জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ দপ্তরে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা জানান। 

১৬ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আহবান জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংলাপের বার্তা দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও। কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনো পক্ষই তাতে সাড়া দেয়নি। চলমান পরিস্থিতিতে যদি সংলাপ হয়, বিএনপি যদি ভোটে ফিরতে চায়, তাদের জন্য তফসিল পরিবর্তনের কথা ইসি বিবেচনা করবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তফসিল পুনর্নির্ধারণে ইসি রাজি আছে বলে জানান রাশেদা সুলতানা। 

তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করব। কখনই চাইব না যে ওনারা আসতে চেয়েছেন, আমরা ফিরিয়ে দেব, এটা হবে না।’

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘যদি সময় বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়ানো হবে। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে, এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নেই। যদি এ তফসিলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেয়ার দরকার নেই।’

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সূচি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোট গ্রহণ।

তফসিল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে রয়েছে। তাদের দাবি, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর গত করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলেরও শেষ দিন। সে কারণে তফসিল পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়টাতে আমরা কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। যখন আসবে, যেটা হবে সেটাই বলব। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলব না। বলা উচিতও না।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে। মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত, তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না এমন কোনো কথা নয়। যেকোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।’

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর উদ্দেশে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। আসেন, নির্বাচন করেন। নিঃসন্দেহে আপনারা একটা ভালো সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয়ই আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করব।’

আরও