গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অব্যাহত
লড়াইয়ের মাঝে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি দেখছে একাধিক পক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার
এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে উল্লেখ করেছে। তিনি বলেছেন, আশা করা হচ্ছে যে একটি সংক্ষিপ্ত
যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হতে পারে।
এদিকে আল-শিফা হাসপাতালে চলমান অভিযানকে
ন্যায্যতা দিতে চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে দুটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করে বলছে,
হামাসের ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যের টানেল খুঁজে পেয়েছে। এমনকি ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু ও দুই
জিম্মিকে হাসপাতালে আনার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়ে তারা সিসিটিভি ফুটেজ সামনে
এনেছে।
তবে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের
সরবরাহ করা এসব তথ্য-ভিডিও স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। অন্যদিকে হাসপাতালের হামাসের
ঘাঁটি থাকার বিষয়টিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল,
যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে তখন তা অস্বীকার করেছিল ইসরায়েল।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ
বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা নাগালের মধ্যে
রয়েছে। একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে আমরা।
সঙ্গে যোগ করেন, ছোটখাটো কিছু বিষয়
এখনো অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে।
এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা
জন ফিনার বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া আলোচনায় চুক্তির জন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে
কাছাকাছি রয়েছি আমরা।
তবে গতকাল রোববার রাতেও আসন্ন চুক্তির
খবর বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এখন পর্যন্ত
আমরা কোনো চুক্তিতে নেই।