দেশে সাম্প্রতিক কালে অনেকগুলো বৃহৎ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে যেকোনো প্রকল্পের ভিড়ে নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। পদ্মা সেতুর কারণে যেভাবে বহির্বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণেও বাংলাদেশ নতুন করে পরিচিতি পাবে অবকাঠামো উৎকর্ষের মহিমায়। কর্ণফুলীর নিচ দিয়ে তৈরি প্রায় ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথটি চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোয় নতুন দিকের সূচনা করেছে। চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংকের ঋণসহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত টানেলটি অনেকটা নির্ধারিত সময়েই শেষ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
শৌর্য-সৌন্দর্য ছাড়াও টানেলটি স্থানীয় জনগোষ্ঠী এমনকি দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটেও ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, যোগাযোগ এ অবকাঠামো পাল্টে দেবে পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামকে। পর্যটনে যোগ হবে নতুন মাত্রা। ইকোনমিক জোনসহ শিল্প-কারখানায় অঞ্চলটি সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিতে পারে চীনের সাংহাইয়ের মতো। তৈরি হবে নতুন নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন।