আরবিআইয়ের প্রতিবেদন

অর্থনীতিতে সম্প্রসারণ অব্যাহত, মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী

ব্যক্তিগত খরচ, স্থির বিনিয়োগ ও শক্তিশালী সরকারি খাতে ব্যয়ের মতো অভ্যন্তরীণ প্রভাবে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পর ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলক স্থিতিশীল। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) স্টেট অব দি ইকোনমি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। খবর দ্য হিন্দু।

ব্যক্তিগত খরচ, স্থির বিনিয়োগ ও শক্তিশালী সরকারি খাতে ব্যয়ের মতো অভ্যন্তরীণ প্রভাবে শক্তিশালী হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পর ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলক স্থিতিশীল। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) স্টেট অব দি ইকোনমি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। খবর দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি নতুন ঝুঁকি তুলে ধরা হয়েছে। সৌদি আরব ও রাশিয়া জ্বালানি তেল উৎপাদন কমিয়ে দেয়ায় এবং শক্তিশালী মার্কিন ডলারের কারণে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলারের ওপরে রয়েছে। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি উদ্বেগের, তবে ভারতীয় অর্থনীতিতে তা খুব একটা আঘাত করতে পারেনি।

আগস্টে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি তার আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। নিম্নমুখী এ প্রবণতা সেপ্টেম্বরেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ইতিবাচক প্রবণতা আংশিকভাবে সবজির দাম কমার কারণে হয়েছে। হেডলাইন মূল্যস্ফীতি আগস্টে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা এখনো আরবিআইয়ের ২-৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার নিচে। খাদ্য মূল্যস্ফীতিও জুলাইয়ের ১০ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে আগস্টে ৯ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভারতের প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বেসরকারি ভোগ ও স্থায়ী বিনিয়োগ দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এটি নিট রফতানির নেতিবাচক প্রভাবকেও কমিয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলগুলো উৎসবের সময়ের ব্যয় থেকে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রুত চলমান ভোক্তা পণ্যের (এফএমসিজি) গ্রামীণ চাহিদা পুনরুদ্ধার হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির নিম্নমুখিতা বিশেষ করে সেপ্টেম্বরে এ আশাবাদী প্রাক্কলনকে আরো বাড়িয়ে তোলে।

ভারতের ভোক্তা বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠতে চলেছে। যেখানে মাথাপিছু পারিবারিক ব্যয় এশিয়ার অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে।

বিনিয়োগের দিক থেকে বৃহৎ কেন্দ্রীয় পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজগুলো (সিপিএসই) বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৪২ শতাংশেরও বেশি শক্তিশালী মূলধন ব্যয় করেছে। এছাড়া রাজ্যগুলোও তাদের মূলধন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। সামগ্রিকভাবে ভারতীয় অর্থনীতি একটি ইতিবাচক পথে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ শক্তি ও মূলধন ব্যয় উদ্যোগ দ্বারা পরিচালিত।

চলতি আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি দ্রুত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয়ার্ধের প্রবৃদ্ধি প্রথমার্ধের চেয়ে বেশি হবে না। আগস্টের শুরুতে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ‘‌সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক ধাক্কা সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ছিল এবং তা শক্তিশালী আছে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পর বক্তৃতাকালে তিনি বলেছেন, ‘‌আমাদের অর্থনীতি যৌক্তিক গতিতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।’

আরও