বিশ্বে সর্বোচ্চ সিসা দূষিত
দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। রক্তে মাত্রাতিরিক্ত এ ধাতুর উপস্থিতি
শিশুদের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দিচ্ছে, বিভিন্ন হৃদরোগজনিত কারণে প্রাপ্তবয়স্করা প্রাণ
হারাচ্ছেন। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত নতুন গবেষণায়
এসব তথ্য উঠে আসে। এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবহিত করেছে লেড-সেফ বাংলাদেশ কোয়ালিশন।
‘গ্লোবাল হেলথ বারডেন অ্যান্ড
কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস: আ হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক
মডেলিং অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এই গবেষণায় দেখা যায় যে, সিসা দূষণের কারণে
ক্ষতির পরিমাণ আগে যা অনুমান করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি।
গবেষণা মতে, বাংলাদেশে সিসা
দূষণের কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বুদ্ধিমত্তার সূচক বা আইকিউ পয়েন্ট দুই কোটিরও
বেশি কমে গেছে; বাড়ছে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতার ঝুঁকি, গুণতে হচ্ছে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের
বেশি আর্থিক ক্ষতি, কমে যাচ্ছে দেশের ৩.৭ শতাংশ বার্ষিক জিডিপি।
আরো বলা হয়, সিসা বিষক্রিয়ার
শিকার হলে শিশুদের বুদ্ধি কমে যায়, পড়ালেখায় পিছিয়ে পরে, মনোযোগে সমস্যা হয়, আচরণগত
সমস্যা যেমন মেজাজ খিটখিটে, উচ্ছৃঙ্খলতা এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার লক্ষণ
দেখা যায়।
২৫ বছর বা তার ঊর্ধে প্রাপ্তবয়স্কদের
মধ্যে সিসা দূষণের কারণে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে
যার কারণে বছরে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে. যা আগের অনুমানের চেয়ে চারগুণ
বেশি মৃত্যুর হার।
বুদ্ধিমত্তা হ্রাস ও হৃদরোগে
মৃত্যুর ফলে দেশের আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার, যার কারণে দেশে ২০১৯ সালে
৬ থেকে ৯ শতাংশ জিডিপিতে ঘাটতির সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে
বাংলাদেশে সিসা দূষণ প্রতিরোধে কাজ করছে এমন সংগঠনগুলোর জোট লেড-সেফ বাংলাদেশ কোয়ালিশন।
জোটের সদস্যরা সরকার ও নীতিনির্ধারকদের কাছে তাদের প্রস্তাবিত দশ-দফা কর্মপরিকল্পনা
অনুসরণ করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।