এপেক্স ফুটওয়্যার কোন কোন দেশে জুতা রফতানি করছে? বর্তমানে রফতানির পরিমাণ কত?
আমরা গত বছর রফতানি করেছি প্রায় ৫ কোটি ৭ লাখ ডলার। আরা রফতানি ইউরোপে, জাপান ও আমেরিকায় করি। মোট রফতানির সিংহভাগ ইউরোপে যায়, যার পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি।
আপনারা কি শুধু লেদার সু রফতানি করছেন, না সিনথেটিক কেডস, স্নিকারও?
আমাদের একটা ছোট ইউনিট আছে, যা শুধু ডেকাথলনের জন্য। ওদের জন্য উৎপাদন করি। এখানে সিনথেটিক, স্পোর্টস সু তৈরি হয়। ওটা ছোট ইউনিট। এমনি আমরা মূলত লেদারের জুতোই তৈরি করি। আর কিছু করি না।
এপেক্সের উৎপাদন সক্ষমতা কেমন?
আমাদের মাসিক ক্যাপাসিটি ৩ লাখ জোড়া।
ফুটওয়্যার রফতানিতে সম্ভাবনা কেমন?
আমাদের মুভমেন্ট হচ্ছে বিশেষত সিনথেটিকে। তাইওয়ানের কারখানাগুলোয় আসছে, আমাদের কাছে অর্ডার আসছে। ইউএসের ব্র্যান্ডগুলো আমাদের এখানে আসছে। রাতারাতি তো বাড়ে না, তা ধীরে ধীরে বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু ব্র্যান্ডের সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করছি। একটু সময় লাগবে আমাদের ওই অবস্থানে যেতে। এখানে তাইওয়ানে অনেকগুলো কারখানা আছে, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কাজ করে। সেগুলোই কিছু কিছু আমাদের কাছে আসছে। টিম্বারল্যান্ডের সঙ্গে আমরা করছি না এখনো। টিম্বারল্যান্ড শুধু স্টেলার সঙ্গে কাজ করে, আর কিছু চট্টগ্রামে করে তাইওয়ানের কোম্পানির সঙ্গে।
বাংলাদেশের ফুটওয়্যার রফতানির সম্ভাবনা এখন কোন দিকে?
মূলত সমস্যা হচ্ছে আমাদের সাপ্লাই চেইন। এখন ইমপোর্ট যথেষ্ট কমে গেছে। পোর্টের সার্ভিস যথেষ্ট ভালো। কনটেইনার এখন এত বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। বহির্নোঙরে থাকতে হয় না বেশি সময়, বার্থিং পায়, কনটেইনার ডিসচার্জ হয়। এই জিনিসগুলোর উন্নতি হয়েছে যার কারণ হচ্ছে লো ক্যাপাসিটি। কমার্শিয়াল ইমপোর্ট বলতে গেলে নেই। গার্মেন্টসের চাহিদা কমছে। এক্সপোর্ট তো কমছে দ্রুতগতিতে। একটা হচ্ছে বেশির ভাগ রিটেইলারের অনেক বেশি স্টক রয়ে গেছে। তাদের কেনার বাজেট নেই। এবং লেদার সু থেকে এরা সিনথেটিকের দিকে যাচ্ছে। এটার একটা কারণ হচ্ছে ইউরোপের মানুষের তো বেতন বাড়েনি। কিন্তু গ্যাসের দাম, ইলেকট্রিসিটির দাম বেড়েছে, তাই লেদার সুর পরিবর্তে সিনথেটিক সুর দিকে যাচ্ছে। এখন লেদার সুর চাহিদা একটু কমে যাচ্ছে। আশা করা যায় বৈশ্বিক অর্থনীতি একটু ঠিক হলে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে। লেদার সুর চাহিদা একেবারে কখনই কমে যাবে না কিন্তু এখন একটু স্লো যাচ্ছে। এর কারণ একটা হচ্ছে হাইলেভেল ইনভেন্টরি এবং অন্যটি হচ্ছে ইউরোপিয়ানদের কম ইনকাম।
বাংলাদেশের লেদার ফুটওয়্যারের সবচেয়ে বড় এক্সপোর্টার এখন কে?
যদি ইপিজেডের বাইরে ধরেন তাহলে লেদার ফুটওয়্যারের লারজেস্ট এক্সপোর্টার হিসেবে এখনো আমরা। আর ইপিজেড ধরলে গোল্ডেন টাইম নামের একটা ফ্যাক্টরি আছে ওরা। এটা বেশ বড় ফ্যাক্টরি, ওদের চায়না ও ভিয়েতনামে ফ্যাক্টরি আছে।