গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী বাবলু চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর শখের বশে চাকরি করেন কিছুদিন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এরপর ২০০৪ সাল থেকে মেরিন সেফটিজ ব্যবসা যেমন কপার, এসএস, অ্যালুমিনিয়াম, জিংক অর্থাৎ মেটালজাতীয় পণ্য রফতানির ব্যবসা শুরু করেন। এ খাতের রফতানি পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেবব্রত রায়
ব্যবসার শুরুর দিকে পরিস্থিতি কেমন ছিল?
এ ব্যবসার শুরুতে প্রচুর টাকার বিনিয়োগ করতে হয়। ব্যবসার শুরুতে আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল অর্থের বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। আমার এত টাকা ছিল না। তবে এক্ষেত্রে আমার মামা শওকত আলী চৌধুরী আমাকে সহযোগিতা করেছেন। অর্থ জোগান নিশ্চিতে তিনি আমাকে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন। ব্যবসার শুরু এবং টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিয়েছি। যার ফল এখন পাচ্ছি। তবে ২০০৪ সালে ব্যবসা শুরু করার পরে ২০০৭ সালে বিশ্ববাজারে মেটালের দাম সরাসরি অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল। যার কারণে আমাদের রাতারাতি মূলধন অর্ধেক হয়ে যায়। এমনকি সেই সময়ে আমরা বেশকিছু পণ্য চীনে রফতানি করেছিলাম, সেগুলোও আমাদের কাছে ফেরত চলে আসে। যার কারণে মূলধনের ক্ষতি নিয়েই আমাদের ২০০৭ থেকে ব্যবসা শুরু করতে হয়েছে। আমরা ব্যবসার শুরু থেকেই রফতানিমুখী ছিলাম। আমরা স্থানীয় বাজারে কোনো পণ্য বিক্রি করিনি।
আমাদের ব্যবসার প্রথম রফতানি ছিল জার্মানিতে। যেটা আমার পার্টনার করেছিল। মূলত সেই সময়ে ইন্টারনেটের এত আধিক্য না থাকায় চট্টগ্রাম চেম্বারে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লিস্ট আসত। সেখান থেকে অনলাইন বা টেলিফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করত সে। এভাবে বিভিন্ন বিদেশী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করতে একটা সময়ে ব্যবসাটি বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দাঁড়িয়ে যায়। জার্মানিতে রফতানির দুই-এক মাস পরই কোরিয়া ও জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা ব্যবসা শুরু করি। এই তিন দেশ ছাড়াও আমরা ইতালি ও স্পেনের সঙ্গে ব্যবসা করছি। এছাড়া ইউরোপের কিছু দেশে আমরা সীমিত পরিসরে ব্যবসা করছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা গড়ে ৫ শতাংশেরও কম।
রফতানির জন্য আরো দেশ কি বাড়ানো সম্ভব নয়?
আমরা সবসময় নতুন দেশে রফতানির বাজার খুঁজি। নতুন ক্রেতা কে আছে, তার পণ্যের চাহিদা কেমন—সেগুলো আমরা জানার চেষ্টা করি।
বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর যে চাহিদা আছে সেগুলো কি আমাদের পক্ষে বা শিপিং করপোরেশনের পক্ষে মেটানো সম্ভব?
মূলত আমাদের ব্যবসায়িক পণ্যগুলোর শতভাগই আসে জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে। এ শিল্পগুলোর ওপর আমরা নির্ভরশীল। জাহাজ ভাঙা শিল্প থেকে আমরা যত সাপোর্ট পাব তত আমাদের ব্যবসা বড় হবে। আমাদের পণ্যগুলো বাংলাদেশে ব্যবহার করলে মূল্য ততটা বাড়বে না। জাহাজ ভাঙা শিল্পের প্রসার যত বাড়বে আমাদের ব্যবসা তত বাড়বে। প্রপেলার, এসএস কিংবা অ্যালুমিনিয়াম, এলএনজি ট্যাংক ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে রফতানি হচ্ছে। জাহাজ ভাঙা ব্যবসা ছোট হয়ে এলে আমাদের ব্যবসা ছোট হয়ে আসবে। আর বড় হলে আমাদের ব্যবসাও বড় হবে। একটি বাল্ক ক্যারিয়ার আসলে তার ১-২ শতাংশ, ট্যাংকার হলে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ রফতানি করা সম্ভব হয়। তাও সেটা জাহাজের ওপর নির্ভর করে। তবে সম্প্রতি এলএনজি শিপ আসছে যেগুলো অ্যালুমিনিয়াম বা এসএস দিয়ে বানানোর কারণে বেশি পরিমাণে রফতানি সম্ভব হয়। তবে এ শিপগুলো বছরে একটা বা দুইটা আসে বাংলাদেশে। এ জাহাজগুলো গত ১৭ বছরের ব্যবসায়ের ইতিহাসে ৮-১০টার বেশি দেখিনি। যার মধ্যে সর্বশেষ দুই বছরে এলএনজি শিপ বাংলাদেশে এসেছে ছয়টি।
এ পণ্যগুলোর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ভালো নয় কেন?
জাহাজের প্রপেলারগুলো সরাসরি আমরা বিদেশের বিভিন্ন প্রপেলার কোম্পানির কাছে বিক্রি করি। দেশের বাজারে যেগুলো বাথরুমের ট্যাপ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। যার মূল্য বেশ কম। কিন্তু বিদেশে রফতানির জন্য এ পণ্যটির দাম বেশি থাকে। আমাদের পণ্য বেশির ভাগ বাথরুমের পার্টস হিসেবে তৈরি হয়। কিন্তু বিদেশে এগুলোর দাম ও চাহিদা দুইটাই বেশি। দেশের বাজারে এ পণ্যগুলোর দাম কয়েক ভাগ কমই বলা যায়। আমাদের রফতানির হিসাব জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত হয়। জাহাজ কম এলেও পণ্যের দাম আন্তর্জাতিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে রফতানি মূল্য বেড়ে গেছে। ভ্যাট, ট্যাক্স বা ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
আপনার ব্যবসায় আসা এবং ব্যবসা পরিচালনার পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন।
আমাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে বিদেশীরা পণ্য বানিয়ে ব্যবসা করছে। পরে আমরা চিন্তা করলাম যদি বিদেশী ক্রেতাদের কাছে ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারি তাহলে পণ্যের দাম বাড়বে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা এ কাজ শুরু করি। মূলত আমাদের এ কাজে দেরি হয়েছে মেশিনারিজ সংগ্রহ এবং সেটা প্রতিস্থাপনের জন্য। ২০১২-১৩ সালের দিকে আমরা এ মধ্যবর্তী ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরির কাজ শুরু করি। তবে সম্পূর্ণ প্রডাকশনের কাজ শুরু করি ২০১৭ সালে এসে। আমরা বিশেষজ্ঞের অভাবে প্রডাক্টের জন্য যতটা ফিনিশিং দিতে হয় সেটা দিতে পারিনি। আমরা যেহেতু চায়না বা ভারতের বাজার টার্গেট করিনি সেজন্য ইউরোপে বা অন্যান্য দেশের জন্য আমাদের ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরি করতে হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ এনে আমরা প্রডাক্টগুলো এখন তৈরি করছি। শুরুর দিকে আমরা এ কাজগুলো করতে পারিনি। তবে ঢাকায় অ্যালুমিনিয়ামের জন্য বড় বড় কারখানা তৈরি করা হচ্ছে। সম্ভবত বসুন্ধরা গ্রুপ এ ধরনের কাজ করছে।
জাহাজ ভাঙা শিল্পের এখন পরিস্থিতি কী?
জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে গ্রিন ইয়ার্ড নির্মাণ করার জন্য। এ গ্রিন ইয়ার্ড জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য শুভ সংবাদ বয়ে আনবে। একটি গ্রিন ইয়ার্ড তৈরি করতে মালিকদের সাইজভেদে ২০ থেকে ৬০ কোটি বা তার বেশি টাকা খরচ পড়বে। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী স্ক্র্যাপ জাহাজগুলো ইয়ার্ডে আনতে হলে গ্রিন ইয়ার্ড থাকা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এটার জন্য স্বাক্ষর করেছে। গ্রিন ইয়ার্ড না থাকলে ভালো জাহাজ আমাদের দেবে না। সব জাহাজ ভারতে চলে যাবে। যে জাহাজগুলো পাওয়া যাবে সেগুলো হয়তো ছোট জাহাজ। তাতে দেশের বাজার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বড় দেশের ভালো মানসম্পন্ন জাহাজের বদলে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের স্ক্র্যাপ জাহাজ বাংলাদেশে ঢুকবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানিতে আমরা পিছিয়ে পড়ব। তবে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে এবং আমাদের ভালোর জন্য তারা প্রেশার দিচ্ছে। সবাই গ্রিন ইয়ার্ড নির্মাণ করলে ব্যবসা আগের তুলনায় আরো ভালো হবে। জাহাজ ভাঙা শিল্পের কারণে পরিবেশগত ক্ষতি তো আমাদের হচ্ছেই। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। যার কারণে গ্রিন ইয়ার্ড করা ছাড়া আমাদের উপায়ও নেই। তবে ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এত টাকা বিনিয়োগ করাই কষ্টকর।
সরকার আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের যদি সফট লোনের ব্যবস্থা করে তাহলে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তবে অনেকেই এ বিনিয়োগ করতে পারবেন না। যার কারণে তারা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন। ভারতের দিকে দেখেন তারা জাইকার মতো প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য দেশ থেকে লোন নিয়ে গ্রিন ইয়ার্ড নির্মাণে কাজ করছে। কিন্তু আমরা সেটি পারিনি। গ্রিন ইয়ার্ড হলে তাদের ব্যবসার সঙ্গে নন-গ্রিন ইয়ার্ডের মালিকরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। বাংলাদেশে শিপইয়ার্ড নিয়ে নেতিবাচক অবস্থায় আমরা ব্যবসা করছি কিন্তু ভারতে এ ব্যবসাকে অনেক উৎসাহ দেয়া হয়। আমাদের দেশে এ পরিস্থিতি আসুক এটাই আমাদের চাওয়া। সেফটি ইস্যু নিয়ে আমরা অনেক সতর্ক। প্রশিক্ষণ ও সতর্কতার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কিছু জায়গায় গ্যাপ থাকলেও মালিকরা শ্রমিকদের সেফটি ইস্যু নিয়ে বেশ সতর্ক আছেন। বর্তমানে ভারত আমাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। পাকিস্তানের ব্যবসা এখন আগের মতো নেই। তবে বিশ্ববাজারে এখন মধ্যবর্তী ক্যাশ বায়ার সবাই ভারতীয়। এটাই আমাদের জন্য বড় সমস্যা এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার। জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার কথা বলেছিল শিল্প মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেটি এখনো চালু হয়নি।
জাহাজ ভাঙা শিল্পে ওয়ান স্টপ সার্ভিসে কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হলে একটা জায়গা থেকে সব ধরনের ছাড়পত্র নেয়া সম্ভব হতো। যেমন ধরেন বন্দর, ফায়ার সার্ভিস, ডিজি শিপিং ড্রাইডক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে তারপর স্ক্র্যাপ জাহাজ ইয়ার্ডে আসে। কিন্তু আলাদা জায়গা থেকে ছাড়পত্র নেয়ার কারণে জাহাজটি কাটতে ১৫-২০ দিনের বেশি সময় ব্যয় হয়। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে এখন ঢাকায় যেতে হচ্ছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস হলে সব ধরনের আবেদন জমাদান এবং ছাড়পত্রপ্রাপ্তিতে অল্প সময় লাগত। কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে জানালেও এখনো এটি করা সম্ভব হয়নি। কভিডের আগে বিষয়টি চালু থাকলেও এখনো করে ওঠা সম্ভব হয়নি। যার কারণে ব্যবসায়ীরা স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করে লস টানছেন।
স্ক্র্যাপের ওজন নিয়ে বড় সংকটে আছি। আমরা শিপইয়ার্ড থেকে অগ্রিম অর্থ দিয়ে স্ক্র্যাপ কিনি। কিন্তু অনেক ইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপ কিনে নেয়ার পরে ওজনে কম পাই। কীভাবে ওজন কমে যায় সেটি নিয়ে আমরা এখনো কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।
আপনার ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
বাজারে আমাদের যদি লিডারশিপ কমেও যায় তাহলেও আমাদের ফ্যাক্টরি আরো বড় করব। কীভাবে রফতানি আরো বাড়ানো যায়, বিদেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরো যোগাযোগ বাড়ানো যায় কিংবা তাদের আরো চাহিদাসম্পন্ন পণ্য আমরা কীভাবে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য। রফতানি বাড়ানো সম্ভব হলে দেশের সুনাম এবং আর্থিক পরিস্থিতি আরো ভালো হবে। রফতানিকে কেন্দ্র করেই আমাদের ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ করব। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই আমাদের এখন মূল লক্ষ্য। বর্তমানে আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি তাতে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ সম্ভব। তবে সরকার যদি আমদানি-রফতানি নীতিতে কোনো নিয়ম পরিবর্তন না করে তাহলে আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সরকারের পলিসি পরিবর্তন নিয়ে আপনি যে কথা বললেন সেটি নিয়ে কি আপনার কোন সংশয় আছে?
সরকার কোনো পলিসি গ্রহণ করলে সেটা অন্তত বেশকিছু সময়ের জন্য বা ১০ বছরের জন্য হাতে নেয়া উচিত। স্বল্প সময়ের পলিসি কখনো দেশের অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগবান্ধব হবে না। তাতে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘমেয়াদে সময় পাবেন না তাদের পরিকল্পনা করার জন্য। সেজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পলিসিগুলো নেয়া উচিত। নয়তো বারবার পরিবর্তন হলে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই পথে বসবেন। দীর্ঘমেয়াদি পলিসি নিলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। তাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগবান্ধব পলিসি প্রণয়নের দাবি জানাই।