অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন এনার্জি জায়ান্ট
শেভরন পরিচালিত দুটি লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি প্ল্যান্টের শ্রমিকরা ধর্মঘটের
ডাক দিয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের কর্মসূচি পালিত হলে বিশ্বজুড়ে বাড়তে পারে
তরলীকৃত গ্যাসের দাম। খবর বিবিসি।
বেতন ও কাজের শর্ত নিয়ে ইউনিয়নগুলোর
সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছিল শেভরনের। তাতে কোনো সমাধান না এলে ধর্মঘটের ডাক
দেন শ্রমিকরা।
অবশ্য শেভরন বলছে, তারা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যভাবে
কাজ চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
আরো জানায়, কোম্পানি ও কর্মচারী উভয়ের
স্বার্থ যাতে রক্ষা হয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে তারা আগ্রহী।
হুইটস্টোন ও গরগনের এই স্থাপনাগুলো
বৈশ্বিক এলএনজির ৫ শতাংশে বেশি উৎপাদন করে থাকে।
অবশ্য আগেই ধর্মঘটের প্রভাব পড়া শুরু
হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মঘটের ভয় সম্প্রতি ইউরোপে পাইকারি গ্যাসের দাম
বাড়িয়ে দিয়েছে।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার শেভরনের এ দুটি
প্লান্টে প্রায় ৫০০ কর্মী নিযুক্ত রয়েছে।
শেভরনের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী
দুটি ইউনিয়নের হয়ে দর কষাকষি করছে অফশোর অ্যালায়েন্স। তারা জানায়, বেতন, চাকরির নিরাপত্তা,
কাজের সময় বণ্টন ও প্রশিক্ষণসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর
চেষ্টা চলছে।
তবে শেভরন আলোচনার জন্য যে প্রক্রিয়া
অনুসরণ করছে তা হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছে অফশোর অ্যালায়েন্স।
গত সপ্তাহে শেভরনের গোলযোগ ও উডসাইড
এনার্জি পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ার এলএনজি প্ল্যান্টে সরবরাহে ব্যাঘাত নতুন উদ্বেগ তৈরি
করে। যার কারণে ইউরোপে পাইকারি দাম বেড়েছে।
অবশ্য উডসাইড জানিয়েছে, শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী
ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
উডসাইড ও শেভরনের প্ল্যান্ট থেকে বৈশ্বিক
এলএনজি সরবরাহের ১০ শতাংশ আসে।
গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর
রাশিয়া ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এরপর বিশ্বজুড়ে গ্যাসের
দাম বাড়লে এলএনজির মতো বিকল্প শক্তির উৎস সন্ধানে নামে দেশগুলো।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি
রফতানিকারক। তাদের সরবরাহ বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম কমাতে সাহায্য করেছে।