তালিকাভুক্ত সবচেয়ে বড় করপোরেট বন্ড বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। এ অর্থ তিন প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। এরই মধ্যে দুই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ২ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা সফলভাবে বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে বিবিধ খাতের কোম্পানিটি। ডিএসইর মাধ্যমে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে করপোরেট বন্ডটি।
তথ্য অনুসারে, বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনার অর্থ দুই বিদ্যুৎ প্রকল্প ও এক বস্ত্র প্রকল্পের বিভিন্ন ইউনিট সম্প্রসারণের কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয় ইস্যুয়ার কোম্পানিটি। এর মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তিস্তা সোলার লিমিটেড ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করতোয়া সোলার লিমিটেড নির্মাণ। এ দুই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে তিস্তা সোলারের জন্য বরাদ্দকৃত সব অর্থ এরই মধ্যে বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে কোম্পানিটি। এ প্রকল্পে সুকুক তহবিল থেকে মোট ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে গত ৮ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে করতোয়া সোলার প্রকল্প এখনো নির্মাণাধীন। প্রকল্পটি থেকে ২০২৪ সালের জুনে উৎপাদনে যাওয়ার প্রত্যশা করছে তহবিলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে সুকুকের অর্থে আরেক প্রকল্প বেক্সিমকোর বস্ত্র বিভাগ সম্প্রসারণের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা এরই মধ্যে বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে ইস্যুয়ার কোম্পানিটি। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজও শুরু হয়েছে। সুকুকের অর্থে এ প্রকল্পের স্পিনিং, ডেনিম, ইয়ার্ন ডায়িং, নিটিং, প্রিন্টিং ও ওয়াশিং ইউনিটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার সম্পন্ন হওয়া দুই প্রকল্প অর্থাৎ তিস্তা সোলার লিমিটেড নির্মাণ এবং বস্ত্র বিভাগ সম্প্রসারণে ইস্যুয়ার কোম্পানিটি মোট ২ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগকৃত এ অর্থের বিপরীতে এরই মধ্যে আয় শুরু হয়েছে।