মাছ উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে অংশীজনদের সমন্বয় প্রয়োজন

প্রতিবছরই বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। নিরাপদ মাছ উৎপাদন এবং প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত যে সকল অংশীজন রয়েছেন তাদের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।

প্রতিবছরই বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। নিরাপদ মাছ উৎপাদন এবং প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছানো পর্যন্ত যে সকল অংশীজন রয়েছেন তাদের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় মাছ উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডির অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সিনিয়র মার্কেট সিস্টেম স্পেশালিস্ট মো. জহিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, অ্যাকোয়াকালচার অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে বেসরকারি খাতে যেসব পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছে, তারা প্রত্যেকেই ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের ব্যবসা বৃদ্ধির হার ন্যূনতম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ হার আরো বেশি।

বাংলাদেশ অ্যাকোয়াকালচার অ্যাক্টিভিটির প্রকল্পের প্রধান ড. মনজুরুল করিম বলেন, মাছ উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সাড়ে ২৪ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পটির আওতায় ২৩টি জেলায় প্রায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার মৎস্যজীবী সুফল পেয়েছেন। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। প্রকল্প শেষেও এর মাধ্যমে শুরু করা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য প্রকল্পের অংশীদারদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি মূলত বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ সুফল বয়ে এনেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পৌঁছা পর্যন্ত জড়িত সব পার্টনারকে একটি প্লাটফর্মে  আনা হয়েছে। যা এ খাতে জড়িত সকল অংশীদারদের ব্যবসায়িকভাবে লাভবান করেছে। এর মাধ্যমে একজন মাছ চাষি পরামর্শ, উপকরণের পাশাপাশি আমানতহীন ঋণ সুবিধা পেয়েছেন।

অংশীদারদের পক্ষে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ব্যাংক এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রোমানা আখতার তুলি বলেন, এই পার্টনারশিপের কারণে আমরা মৎস্য খাতে কাজ শুরু করতে পেরেছি, নতুন গ্রাহক পেয়েছি। আমাদের হাতে ঋণ দেয়ার মতো টাকা ছিল। আগে আমরা এই টাকা ব্যক্তি পর্যায়ে ঋণ প্রদান করতাম। অ্যাকোয়াকালচার অ্যাক্টিভিটির সহায়তায় আমরা মৎস্য চাষিদের জন্য আমানতবিহীন ছোট আকারে ক্ষুদ্রঋণ দেয়া শুরু করি। পরে মৎস্য চাষিদের ফিশ কার্ড চালু করি যার মাধ্যমে তারা নির্দিষ্ট দোকান থেকে টাকা ছাড়াই মাছের খাবার, ওষুধের মতো জরুরি উপাদানগুলো কিনতে পারে।

এসময় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পেট্রোকেম লিমিটেড এবং ম্যাট্রিক্স বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রাইভেট সেক্টরের পেট্রোকেম লিমিটেড, আফতাব ফিড প্রোডাক্টস লিমিটেড, এসকেএফ, ব্রাদার্স সী-ফুড লিমিটেড, গ্রিনডেল বাংলাদেশ লিমিটেড, কোস্ট ফাউন্ডেশন, ব্যাংক এশিয়া, দুরন্ত টিভি, সময় প্রকাশন, বিএসএফএফ, ব্র্যাক হ্যাচারি, সিটি ব্যাংক, সুশীলন, আইমেক্স-প্রো, ম্যাট্রিক্স বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, কাস ট্রেড, গড়াই ফিল্মস, এআরআইটিএস লিমিটেড, মার্জেন।

আরও