বর্তমানে বিশ্ব
অর্থনীতি একটি
সংকটময় পরিস্থিতির
মধ্য দিয়ে
যাচ্ছে। একদিকে
ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা,
অন্যদিকে জ্বালানি
তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ
সারা পৃথিবীতে
অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি।
এর প্রভাবে
যেমন উৎপাদন
খরচ বেড়েছে,
তেমনি ভোগ্যপণ্যের
মূল্য বৃদ্ধি
পেয়েছে। ফলে
উন্নত দেশগুলোয়
ভোগ্যপণ্যের চাহিদা
ও ব্যয়
কমে এসেছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক
মুদ্রা তহবিলের
(আইএমএফ) পূর্বাভাস
অনুযায়ী বিশ্ব
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
২০২২ সালে
৩ দশমিক
৪ থেকে
২০২৩ সালে
২ দশমিক
৮ শতাংশে
হ্রাস পাবে,
যা বিগত
৩০ বছরের
মধ্যে সর্বনিম্ন।
পাশাপাশি বিশ্ব
বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি
২০২২ সালের
২ দশমিক
৭ থেকে
২০২৩ সালে
১ দশমিক
৭ শতাংশে
নেমে আসবে
বলে বিশ্ব
বাণিজ্য সংস্থা
সম্প্রতি পূর্বাভাস
দিয়েছে। এছাড়া
আইএমএফ আশঙ্কা
করছে যে
২০২৩ সালে
বিশ্ব অর্থনীতির
এক-তৃতীয়াংশ
মন্দার মুখোমুখি
হবে, এমনকি
যে দেশগুলো
মন্দায় নেই,
সেসব অর্থনীতিও
মন্দার মুখোমুখি
হতে পারে।
কয়েক মাস
থেকেই আমরা
বলে আসছিলাম
যে আমাদের
পোশাক রফতানিতে
একটি মন্দা
ভাব শুরু
হতে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোর
প্রবৃদ্ধি থেকে
আপনারা এর
প্রতিফলন লক্ষ
করতে পারছেন।
২০২১ ও
২০২২ সালে
আমরা যে
প্রবৃদ্ধি অর্জন
করতে পেরেছিলাম,
তা করোনা-পরবর্তী
চাহিদা বৃদ্ধি
এবং কাঁচামাল,
ফ্রেইট খরচসহ
অন্যান্য উৎপাদন
খরচ বৃদ্ধির
জন্য হয়েছিল।
আর বিগত
ছয় মাসে
আমাদের রফতানিতে
কিছুটা প্রবৃদ্ধি
দেখা গেলেও
মূলত উৎপাদন
খরচ বৃদ্ধির
কারণে রফতানি
কমেছে। সেই
চিত্রটি আমাদের
রফতানি পরিসংখ্যানে
পরিষ্কারভাবে দেখা
যাচ্ছে। আর
চলতি বছরের
সর্বশেষ দুই
মাস মার্চ
ও এপ্রিলে
আমাদের পোশাক
রফতানি মূল্যের
দিক থেকেও
নেগেটিভে চলে
গেছে। মার্চে
আমাদের রফতানি
কমেছে ১
দশমিক শূন্য
৪ শতাংশ
ও এপ্রিলে
১৫ দশমিক
৪৮ শতাংশ।
আমাদের প্রধান
বাজারগুলোর পোশাক
আমদানির চিত্র
যদি আমরা
দেখি, তবে
সেখানে মূল্য
ও ভলিউমে
আরো বিস্তারিত
বিশ্লেষণ দেখতে
পাব। আমরা
অটেক্সা ও
ইউরোস্ট্যাটের আমদানি
ডাটাগুলো আপনাদের
সঙ্গে শেয়ার
করছি। একটি
বিষয় পরিষ্কার
করতে চাই
যে, ইউরোপ
ও আমেরিকার
আমদানি পরিসংখ্যান
ও আমাদের
রফতানি পরিসংখ্যানে
এক-দুই
মাসের একটি
টাইম গ্যাপ
থাকে। যেমন
অটেক্সার মার্চের
তথ্য মূলত
আমাদের ইপিবির
জানুয়ারির শেষ
ভাগ ও
ফেব্রুয়ারির রফতানি
তথ্যের প্রতিফলন।
অর্থাৎ আমরা
এক-দেড়
মাস আগে
যা রফতানি
করেছি, সেটি
এখন ইউরোপ
ও আমেরিকায়
প্রবেশ করছে।
রফতানি-আমদানি
তথ্যগুলো সেভাবে
রেকর্ড হয়।
আপনাদের সুবিধার
জন্য পরিসংখ্যানগুলো
এরই মধ্যে
আপনাদের কাছে
দেয়া হয়েছে।
আপনারা দেখতে
পাচ্ছেন যে
গত বছরের
নভেম্বর থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক
আমদানি হ্রাস
পেয়েছে। নভেম্বরে
বাংলাদেশ থেকে
আমদানি কমে
৯ দশমিক
৮৪ ও
ডিসেম্বরে ১২
দশমিক ৯৪
শতাংশ। জানুয়ারিতে
কিছুটা বৃদ্ধি
পেলেও ফেব্রুয়ারি
ও মার্চে
নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি
হয়। আর
এই পাঁচ
মাস ভলিউমে
আমদানি প্রবৃদ্ধি
একটানা কমে
এসেছে। ফলে
নভেম্বর-মার্চ
সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশ থেকে
পোশাক আমদানি
যেখানে ভ্যালুতে
১২ দশমিক
৬৬ শতাংশ
কমেছে, সেখানে
ভলিউমে কমেছে
২৫ দশমিক
৯৫ শতাংশ।
আমাদের কাছে
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
ইউরোস্ট্যাটের আমদানি
তথ্য রয়েছে।
এটি পর্যালোচনা
করলে প্রায়
একই রকম
বিশ্লেষণ দেখা
যায়। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি
সময়ে ইউরোপ
বাংলাদেশ থেকে
পোশাক আমদানি
ভ্যালুতে বেড়েছে
৭ দশমিক
১০ শতাংশ
এবং ভলিউমে
কমেছে ৪
দশমিক ১২
শতাংশ। অবশ্যই
পণ্যের রফতানি
মূল্য বেড়েছে
বলে এমনটি
ঘটেছে। ইউনিট
প্রাইস বৃদ্ধির
আরেকটি কারণ
হলো সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে আমরা
উচ্চমূল্য সংযোজিত
পণ্য রফতানি
করতে শুরু
করেছি।
ইউরোপ ও
আমেরিকার এখন
পর্যন্ত প্রাপ্ত
আমদানি তথ্য
আমাদের রপ্তানি
উন্নয়ন ব্যুরোর
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
রফতানি তথ্যের
সঙ্গে তুলনাযোগ্য।
যেখানে ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত আমাদের
রফতানিতে পজিটিভ
প্রবৃদ্ধি থাকার
পরও ইউরোপ
ও আমেরিকার
বাংলাদেশ থেকে
আমদানি নেগেটিভ
প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে,
সেখানে মার্চ
ও এপ্রিলে
আমাদের রফতানিতে
যে নেগেটিভ
প্রবৃদ্ধি হয়েছে,
আশঙ্কাজনক হলেও
তার প্রতিফলন
আমরা ইউরোপ
ও আমেরিকার
এপ্রিল-মে
মাসের আমদানি
তথ্যে দেখতে
পাব। এটি
আমাদের জন্য
সত্যিই একটি
অ্যালার্মিং সিচুয়েশনের
ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক
ক্রেতাদের প্রতিনিধিদের
সঙ্গে আলোচনায়
তাদের কাছে
২০২৩ সালের
প্রজেকশন সম্পর্কে
আমরা জানতে
চেয়েছি। তারা
কিন্তু আমাদের
খুব একটা
আশাব্যঞ্জক প্রজেকশন
দিতে পারেননি।
বরং ইউরোপ
ও আমেরিকাজুড়ে
খুচরা বিক্রয়ের
মন্দা ভাব,
এক্সেসিভ ইনভেনটরি
এবং সাপ্লাই
চেইন সংকটকে
তারা প্রধান
সমস্যা হিসেবে
দেখছেন। তবে
আশার কথা
হলো নতুন
বাজারগুলোতে আমাদের
রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে
বেড়েছে এবং
বেশকিছু নতুন
পণ্য যেমন:
আউটারওয়্যার ও
অ্যাকটিভওয়্যারে আমরা
পজিটিভ ডেভেলপমেন্ট
দেখতে পাচ্ছি,
যদিওবা এসব
নন-কটন
পণ্যের কাঁচামাল
উৎপাদনের দিক
থেকে আমরা
একেবারে পিছিয়ে
আছি। ২০০৯-১০
অর্থবছরে বর্তমান
সরকার বাজার
বহুমুখীকরণের জন্য
প্রণোদনা দিয়েছিল।
ফলে অপ্রচলিত
বাজারগুলোতে আমাদের
পোশাক রফতানি
উল্লেখোগ্য হারে
বেড়েছে। অপ্রচলিত
বাজারগুলোতে আমাদের
রফতানি বিগত
১৪ বছরে
৮৪৯ মিলিয়ন
ডলার থেকে
বৃদ্ধি পেয়ে
৬ দশমিক
৩৭ বিলিয়ন
ডলারে পৌঁছেছে।
চলতি অর্থবছরের
১০ মাসে
নতুন বাজারগুলোতে
আমাদের পোশাক
রফতানি আশাব্যঞ্জক
প্রবৃদ্ধি ধরে
রাখতে সক্ষম
হয়েছে। জুলাই-এপ্রিল
২০২২-২৩
সময়ে যেখানে
মোট পোশাক
রফতানি প্রবৃদ্ধি
ছিল ৯
দশমিক শূন্য
৯ শতাংশ,
সেখানে একই
সময়ে নতুন
বাজারে ৩০
দশমিক ৮০
শতাংশ প্রবৃদ্ধি
অর্জিত হয়েছে।
এই ১০
মাসে নতুন
বাজার থেকে
আমাদের রফতানি
আয় হয়েছে
৭ দশমিক
শূন্য ১
বিলিয়ন ডলার।
সেই হিসেবে
চলতি অর্থবছর
শেষে নতুন
বাজারে রফতানি
৮ বিলিয়ন
ডলার অতিক্রম
করবে। আমরা
মনে করি,
নতুন বাজারের
জন্য সরকারের
এ সহযোগিতা
একটি মডেল,
যেটি একটি
টেকসই শিল্প
তৈরিতে যেসব
বিষয়ে আমরা
গুরুত্ব দিচ্ছি
সেই বিষয়গুলোতে
অনুকরণ করা
যেতে পারে।
বর্তমান ভূরাজনৈতিক
ও অর্থনৈতিক
সংকটময় মুহূর্তে
রফতানি আয়
স্থিতিশীল রাখা
ও প্রবৃদ্ধি
ধরে রাখার
কোনো বিকল্প
নেই। বিশেষ
করে বিশ্বব্যাপী
মূল্যস্ফীতি বিরাজ
করছে এবং
আগামীতে বিশ্ববাজারে
জ্বালানি তেলের
মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা
করা হচ্ছে।
তার প্রভাব
আমাদের সাম্প্রতিক
রফতানি ও
রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি
এবং বৈদেশিক
মুদ্রা রিজার্ভের
নিম্নমুখী ধারায়
স্পষ্ট প্রতিফলিত
হয়েছে। মার্চ-এপ্রিলে
আমাদের পোশাক
রফতানি প্রবৃদ্ধি
ঋণাত্মক হলো।
ঠিক তখনই ঈদের
মাস হওয়া
সত্ত্বেও এপ্রিলে
আমাদের রেমিট্যান্স
আয় কমেছে
১৬ দশমিক
২২ শতাংশ।
অন্যান্য সময়
দেখা যায়,
ঈদের মাসে
রেমিট্যান্সের একটা
উল্লম্ফন হয়,
যেটি এ
বছর ব্যতিক্রম
ছিল।
আমাদের মেগা
প্রজেক্টগুলো একের
পর এক
অত্যন্ত সফলতার
সঙ্গে সম্পন্ন
হচ্ছে। আরো
বেশকিছু মেগা
প্রকল্প চলমান
রয়েছে। আমরা
আমাদের সামগ্রিক
অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত
প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ
ম্যানুফ্যাকচারিং ও
রফতানি খাত
থেকে আশা
করছি। এগুলোর
কাঁচামাল আমদানির
ব্যয় মেটাতে
প্রয়োজনীয় বৈদেশিক
মুদ্রার জোগান
দেয় মূলত
রেমিট্যান্স ও
তৈরি পোশাক
খাত।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয়
আমাদের রফতানি
খাতগুলোর প্রবৃদ্ধি
পোশাক খাতের
তুলনায় কমে
গেছে। ফলে
২০২১-২২
অর্থবছরে যেখানে
আমাদের মোট
রফতানি আয়ের
৮১ দশমিক
৮২ শতাংশ
এসেছে পোশাক
খাত থেকে,
সেটি চলতি
অর্থবছরের প্রথম
১০ মাসে
৮৪ দশমিক
৪৬ শতাংশে
পৌঁছে গেছে।
আমাদের আত্মতুষ্টির
কোনো সুযোগ
নেই। তবে
আমরা দুঃখজনকভাবে
লক্ষ করছি
যে, আজকাল
কিছু থিংকট্যাংক
এ শিল্পের
অর্জনে বেশ
তৃপ্ত। তারা
মনে
করছেন, এ
শিল্পের আর
সরকারি সহায়তার
প্রয়োজন নেই।
তারা ২০০৪
সালে বলেছিলেন
যে কোটা
বিলুপ্ত হওয়ার
পর এ
দেশে আর
শিল্পটি টিকবে
না। আমরা
উদ্যোক্তারা তা
ভুল প্রমাণ
করেছি। অতএব
এসব তত্ত্বকথা
ও বিশ্লেষণে
বিভ্রান্ত না
হয়ে এ
শিল্পকে আরো
সহায়তা দেয়া
এবং আরো
বিকশিত করার
পথ খুঁজে
বের করতে
হবে। এ
শিল্পকে শুরু
থেকেই সরকার
সহায়তা প্রদান
করছে। তার
সুফল আমাদের
অর্থনীতি ও
জাতি ভোগ
করছে। এ
শিল্পের বিকাশের
সঙ্গে সঙ্গে
অন্যান্য অনেক
শিল্পও বিকশিত
হওয়ার সুযোগ
পেয়েছে। অতএব
আরো বেশি
সহায়তা পেলে
আমরা আমাদের
অর্থনীতিতে আরো
শক্তিশালী অবদান
রাখব। যেহেতু
স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উত্তরণের
ফলে ২০২৬
সালের পর
থেকে নগদ
প্রণোদনার বিষয়ে
বিধিনিষেধ আসবে,
তাই অন্তত
২০২৬ পর্যন্ত
সময়ে আমরা
যদি বিভিন্ন
প্রণোদনার মাধ্যমে
সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে
বিনিয়োগ বাড়াতে
পারি, সেটি
হবে আমাদের
জন্য সময়োপযোগী
কৌশল। আমাদের
পোশাক শিল্পের
ভেতরে বহুমুখীকরণের
অনেক সুযোগ
আছে। সেজন্য
আমরা কাজ
করে যাচ্ছি।
বিশ্ব পোশাক
বাজারে আমাদের
শেয়ার মাত্র
৬ দশমিক
৩৭ শতাংশ।
এ শেয়ার
১২ শতাংশ
অর্জন করা
এবং ২০৩০
সাল নাগাদ
১০০ বিলিয়ন
ডলার রফতানির
লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে
আমরা কাজ
করছি।
এ লক্ষ্যমাত্রা
অর্জনের মাধ্যমে
আগামী এক
দশকে এ
শিল্প, তার
ব্যাকওয়ার্ড ও
ফরওয়ার্ড লিংকেজ
এবং অন্যান্য
সব সেবা
খাতে যে
কর্মসংস্থান তৈরি
হবে, তার
সুফল আমরা
অবশ্যই পাব।
সরকার অত্যন্ত
বিচক্ষণতার সঙ্গে
অর্থনীতিকে পরিচালনা
করছে। এর
প্রশংসা আন্তর্জাতিকভাবে
আমরা পাচ্ছি।
তবে বৈশ্বিক
সংকটকে আমরা
পাশ কাটাতে
পারব না।
আমাদের অর্থনীতিকে
কিছুটা সুরক্ষিত
রাখতে আমরা
সর্বাত্মক চেষ্টা
করব। ২০২১
সালের আগস্টে
আমাদের বৈদেশিক
মুদ্রার রিজার্ভ
ছিল ৪৮
দশমিক শূন্য
৬ বিলিয়ন
ডলার। এখন
তা কমে
৩০ বিলিয়ন
ডলারে নেমে
এসেছে। ২০২০-২১-এ
আমাদের রফতানি
ছিল ৩১
দশমিক ৪৬
বিলিয়ন ডলার।
এটি ২০২১-২২
অর্থবছরে বেড়ে
৪২ দশমিক
৬১ বিলিয়ন
ডলার হয়।
চলতি বছরের
প্রথম ১০
মাসে আমরা
৩৮ দশমিক
৫৭ বিলিয়ন
ডলার রফতানি
করেছি। আগের
বছর থেকে
তা ৯
শতাংশ বেশি।
তার মানে
আমরা রফতানি
খাত থেকে
ধারাবাহিকভাবে আয়
বাড়ানোর পরও
রিজার্ভের ওপর
থেকে চাপ
কমানো যাচ্ছে
না। আর
যখন রেমিট্যান্স
ও রফতানি
নেগেটিভ ধারায়
প্রবেশ করল,
তখন রিজার্ভের
ওপর চাপ
কমাতে আমাদের
অ্যাগ্রেসিভ কৌশল
নিতে হবে।
এক্সচেঞ্জ রেট
স্থিতিশীল রাখা,
বৈদেশিক বাণিজ্যে
ভারসাম্য ধরে
রাখা, মূল্যস্ফীতি
নিয়ন্ত্রণে রাখা
এবং সার্বিকভাবে
অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির
ধারা সুরক্ষিত
রাখতে আমাদের
রফতানি খাতগুলো,
বিশেষ করে
তৈরি পোশাক
খাতের সুরক্ষা
এবং রফতানি
বাড়ানোর সম্ভাব্য
ক্ষেত্রগুলোয় আরো
সংবেদনশীল হওয়া
ও গুরুত্ব
দেয়া প্রয়োজন।
এ মুহূর্তে
সরকারের কাছ
থেকে যে
নীতিসহায়তাগুলো আমরা
আশা করছি,
সেগুলোর মধ্যে
কয়েকটি উল্লেখযোগ্য
হলো:
১. রফতানির
বিপরীতে প্রযোজ্য
উৎসে কর
১ শতাংশ
থেকে হ্রাস
করে আগের
মতো শূন্য
দশমিক ৫০
শতাংশ করে
আগামী পাঁচ
বছর পর্যন্ত
কার্যকর করা।
এটি করা
হলে উদ্যোক্তারা
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক
ও বিনিয়োগ
পরিকল্পনা গ্রহণ
করতে পারবেন।
২. তৈরি
পোশাক শিল্পের
অ্যাসেসমেন্টের সময়
কর আরোপকালে
অন্যান্য আয়,
যেমন গেইন
অন অ্যাসেটস
ডিসপোজাল, সাব-কন্ট্রাক্ট
ইনকাম এবং
বিবিধ খরচকে
অগ্রহণযোগ্য হিসেবে
গণ্য করে
স্বাভাবিক হারে
(৩০ শতাংশ)
কর আরোপ
না করে
করপোরেট করহার
১২ শতাংশ
হারে আরোপ
করা।
৩. তৈরি
পোশাক শিল্পের
সাব-কন্ট্রাক্টের
ক্ষেত্রে আয়কর
অধ্যাদেশের রুলের
আওতায় সাব-কন্ট্রাক্ট
প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান
কর্তৃক চুক্তির
মূল্য পরিশোধের
সময় প্রস্তাবিত
ধাপ অনুযায়ী
উৎসে কর
ধার্য করা,
ওই করকে
চূড়ান্ত করদায়
হিসেবে গণ্য
করা, অন্যথায়
অ্যাসেসমেন্টের সময়
কর আরোপকালে
করপোরেট ট্যাক্স
হার ১২
শতাংশ হারে
কর ধার্য
করা।
৪. রফতানি
বাণিজ্যের বৃহত্তর
স্বার্থে রফতানিমুখী
তৈরি পোশাক
শিল্পের রফতানিকারকদের
এক্সপোর্টার্স রিটেনশন
কোটা ফান্ড
থেকে রফতানির
প্রবৃদ্ধি ও
উন্নয়নের জন্য
পরিশোধিত ফি
থেকে উৎসে
আয়কর কর্তনের
হার ২০
শতাংশ থেকে
কমিয়ে ১০
শতাংশ করা।
৫. একইভাবে
তৈরি পোশাক
রফতানিতে নগদ
সহায়তার ওপর
১০ শতাংশ
কর প্রত্যাহার।
যেহেতু নগদ
সহায়তা কোনো
ব্যবসায়িক আয়
নয়, তাই
নগদ সহায়তার
অর্থকে করের
আওতার বাইরে
রাখাই যুক্তিসংগত।
বিগত চার
দশকে আমাদের
তৈরি পোশাক
রফতানি ৪৫
বিলিয়ন ডলারে
পৌঁছলেও আমাদের
পণ্যের ম্যাটেরিয়াল
ডাইভারসিফিকেশন তুলনামূলকভাবে
কম হয়েছে।
২০২১-২২
অর্থবছরের রফতানি
অনুযায়ী আমাদের
মোট পোশাক
রফতানির প্রায়
৭৩ শতাংশ
ছিল কটনের
তৈরি, যা
১৩ বছর
আগে ২০০৮-০৯
অর্থবছরে ছিল
৬৯ শতাংশ,
অর্থাৎ বিগত
১০ বছরে
আমাদের শিল্পটির
কটননির্ভরতা বেড়েছে,
যদিও সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে নন-কটন
পোশাকের রফতানি
প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক।
বর্তমান বিশ্বে
ভোক্তাদের ক্রমাগত
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
এবং টেকসই
ও পরিবেশবান্ধব
পোশাকের চাহিদা
বৃদ্ধি পাওয়ার
পরিপ্রেক্ষিতে নন-কটন
পণ্যের চাহিদা
বাড়ছে। যেখানে
বিশ্বে মোট
টেক্সটাইল কনজাম্পশনের
প্রায় ৭৫
শতাংশই নন-কটন
এবং কটনের
শেয়ার মাত্র
২৫ শতাংশ,
বর্তমানে বৈশ্বিক
পোশাক বাণিজ্যের
৫২ শতাংশ
পণ্য নন-কটনের,
সেখানে আমাদের
নন-কটন
পোশাকের রফতানি
মাত্র ২৬
শতাংশ। উল্লেখ্য,
বিগত দশকে
আমাদের দেশে
নন-কটন,
বিশেষত ম্যান-মেড
ফাইবার খাতে
কিছু বিনিয়োগ
হলেও এসব
বিনিয়োগ মূলত
মূলধন ও
টেকনোলজিনির্ভর। প্রতিযোগী
দেশগুলোয় স্থানীয়
পর্যায়ে এ
শিল্পের কাঁচামালের
জোগান থাকায়
এবং তাদের
স্কেল ইকোনমির
কারণে তারা
প্রতিযোগী সক্ষমতায়
অনেক এগিয়ে
আছে।
নন-কটন
পণ্যের বৈশ্বিক
বাজার এবং
আমাদের রফতানি
সম্ভাব্যতা বিবেচনায়
নিয়ে এ
খাতে বিনিয়োগ
ও রফতানি
উৎসাহিত করতে
এবং প্রতিযোগী
সক্ষমতা ধরে
রাখতে নন-কটন
পোশাক রফতানির
ওপর ১০
শতাংশ (রফতানি
মূল্যের) হারে
বিশেষ প্রণোদনা
প্রদানের জন্য
আগামী ২০২৩-২৪
অর্থবছরের বাজেটে
বিশেষ অর্থ
বরাদ্দের জন্য
সরকারের কাছে
বিনীত অনুরোধ
জানাচ্ছি। এ
বিশেষ প্রণোদনা
প্রদান করা
হলে আমাদের
রফতানি বাড়বে,
নতুন বিনিয়োগ
আসবে, কর্মসংস্থান
বাড়বে, এর
সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
সেবা খাতে
ব্যাপক সুযোগ
তৈরি হবে,
সর্বোপরি সরকারের
প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষ রাজস্ব
আহরণের পরিমাণ
বাড়বে।
বর্তমান সময়ে ভোক্তারা সার্কুলার ফ্যাশন ও রিসাইকেল পণ্যের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী। সার্কুলার ফ্যাশন আজ সাসটেইনেবল ফ্যাশন এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিজিএমইএ পরবর্তী প্রজন্মকে একটি পরিচ্ছন্ন পৃথিবী উপহার দিতে ‘ফোর আর’ তথা রিইউজ, রিডিউস, রিসাইকেল, রিকভার ধারণার বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে।
আমরা এরই
মধ্যে অপচয়
কমিয়ে আনা
ও সম্পদের
পরিমিত ব্যবহার
নিশ্চিত করার
জন্য কারখানাগুলোর
সঙ্গে কাজ
করে যাচ্ছি।
আমাদের কারখানাগুলো
নতুন নতুন
টেকনোলজি ব্যবহার
ও প্রসেস
আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে
তাদের অপচয়
কমিয়ে আনছে।
আমরা পোস্ট
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েস্ট
বা ঝুট
কাপড় পুনরায়
কাঁচামাল হিসেবে
ব্যবহারের বিষয়ে
গুরুত্ব দিচ্ছি।
বর্তমানে প্রতি
বছর টেক্সটাইল
ও পোশাক
খাত থেকে
প্রায় ৫
লাখ টনের
মতো ঝুট
তৈরি হয়।
এর একটি
অংশ আমরা
রফতানি করে
থাকি। এর
মাধ্যমে বছরে
প্রায় ৪০০
মিলিয়ন ডলার
আয় হয়।
এ ঝুটগুলো
রিসাইকেল করে
আমরা প্রায়
৫ বিলিয়ন
ডলার সমমূল্যের
পণ্য উৎপাদন
করতে পারব।
এটি আমাদের
দেশজ প্রবৃদ্ধি
আনবে। এ
বিষয়কে প্রাধান্য
দিয়ে আমরা
সরকারের সঙ্গে
আলোচনা করছি
যেন রিসাইকেলিং
শিল্পের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট সব
প্রক্রিয়া, পণ্য
ও সেবাকে
শুল্ক ও
ভ্যাটের আওতামুক্ত
রাখা হয়।
ফলে বিনিয়োগকারীরা
এ খাতে
আকৃষ্ট হবেন।
আমাদের সুপারিশ:
১. স্থানীয়
পর্যায়ে স্থাপিত
রিসাইকেল ফাইবার
উৎপাদনকারী মিলে
ব্যবহূত কাঁচামাল
সংগ্রহ ও
পরবর্তী সময়ে
উৎপাদিত রিসাইকেল
ফাইবার মিল
কর্তৃক স্থানীয়
স্পিনিং মিলে
তা সরবরাহের
ওপর ধার্যকৃত
যথাক্রমে ৭
দশমিক ৫
ও ১৫
শতাংশ ভ্যাট
মওকুফ করার
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ;
২. স্থানীয়
শিল্পের মতো
স্বার্থ সংরক্ষণের
বিষয়টি বিবেচনায়
নিয়ে কটন
ওয়েস্টসহ সকল
প্রকার গার্মেন্টস
ওয়েস্ট বা
রিসাইকেল ফাইবার
উৎপাদনকারী মিলগুলোর
কাঁচামাল ঝুট
আমদানিতে সঠিক
শ্রেণীবিন্যাস ও
শুল্কমুক্ত সুবিধা
প্রদান;
৩. কাটা
পোশাক আমদানিতে
সঠিক শ্রেণীবিন্যাস
ও শুল্কমুক্ত
সুবিধা প্রদান।
বিগত ১০
বছরে কর্মক্ষেত্রে
নিরাপত্তা, শ্রমিকের
কল্যাণ এবং
পরিবেশবান্ধব শিল্প
নির্মাণে যে
পরিশ্রম আমরা
করেছি, বিনিয়োগ
করেছি এবং
সফলতা পেয়েছি,
তা সমগ্র
বিশ্বের প্রশংসা
অর্জন করেছে।
এ অর্জনে
উদ্যোক্তা, শ্রমিক
ভাইবোন, সরকার,
ব্র্যান্ড/ক্রেতা,
উন্নয়ন সহযোগী
ও সংশ্লিষ্ট
অংশীদার সবারই
অবদান রয়েছে।
আজ আমাদের
পোশাক কারখানাগুলো
কেবল নিরাপদই
নয়, বরং
আরো গতিশীল,
আধুনিক, জ্বালানিসাশ্রয়ী
এবং পরিবেশবান্ধব
হয়ে উঠেছে।
আমাদের এখন
১৯৬টি লিড
গ্রিন কারখানা
রয়েছে, যেগুলোর
মধ্যে ৭০টি
প্লাটিনাম রেটেড
এবং ১১২টি
গোল্ড রেটেড।
পোশাক খাতে
গ্রিন কারখানার
সংখ্যা বাড়ানোর
জন্য বিজিএমইএ
প্রতিনিয়ত কাজ
করছে।
দেশে জ্বালানি
সংকট নিরসনের
জন্য সরকার
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
শিল্প খাত
ব্যবহারের জন্য
উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত
করছেন। কিন্তু
সোলার পিভি
সিস্টেম শিল্পপ্রতিষ্ঠানে
স্থাপনের ক্ষেত্রে
উচ্চ হারে
শুল্ক আরোপ
করার কারণে
উদ্যোক্তাদের পক্ষে
তা সম্ভব
হচ্ছে না।
ফলে জ্বালানি
সাশ্রয় করা
এবং সবুজ
কারখানা স্থাপন
ও পরিচালনার
ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের
বিভিন্ন সমস্যার
সম্মুখীন হতে
হচ্ছে। আবার
বিদেশী ক্রেতারা
শিল্প-কারখানাগুলোকে
কমপ্লায়েন্সের আওতাভুক্ত
হওয়ার জন্য
বিভিন্নভাবে চাপ
দিচ্ছেন। শিল্প-কারখানায়
সোলার প্যানেল
সিস্টেম স্থাপনের
মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব
শিল্প-কারখানা
গড়ে তোলা
সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ২০৪১
সালের মধ্যে
৪০ শতাংশ
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
ব্যবহারের ভিশন
নিয়েছেন। বিজিএমইএও
তার রূপকল্পে
২০৩০ সাল
নাগাদ কার্বন
নির্গমন ৩০
শতাংশ কমিয়ে
আনার লক্ষ্য
নির্ধারণ করেছে।
আমাদের পোশাক
কারখানাগুলো এরই
মধ্যে সোলার
প্যানেলভিত্তিক নবায়নযোগ্য
এনার্জি প্লান্ট
স্থাপনে উল্লেখযোগ্য
বিনিয়োগ করেছে।
কিন্তু সোলার
সিস্টেমের সরঞ্জামাদির
আমদানিতে উচ্চ
মাত্রার শুল্কের
কারণে দেশের
নবায়নযোগ্য শক্তি
ব্যবহারের যাত্রা
বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
ব্যবহার সহজলভ্য
করা হলে
রফতানি সক্ষমতা
বাড়বে। সোলার
পিভি সিস্টেম
স্থাপনের মাধ্যমে
তৈরি পোশাক
কারখানাগুলো নবায়নযোগ্য
শক্তির ব্যবহার
বাড়ানোর সঙ্গে
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর
নবায়নযোগ্য জ্বালানি
ব্যবহারের ভিশন
অর্জনে সহায়ক
ভূমিকা পালন
করতে পারে।
পরিবেশবান্ধব শিল্প
স্থাপন ও
জ্বালানি সাশ্রয়ের
জন্য সোলার
পিভি সিস্টেমের
সবগুলো সরঞ্জাম
আমদানিতে ১
শতাংশ হারে
শুল্ক রেয়াতি
প্রদানের জন্য
সরকারের দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি।
ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন
সার্টিফিকেট (আইআরসি)
এবং এক্সপোর্ট
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
(ইআরসি) নবায়নের
মেয়াদ এক
বছর থেকে
বৃদ্ধি করে
পাঁচ বছর
করেছে। ফলে
রফতানিকারকদের সময়
সাশ্রয় ও
ব্যয় হ্রাস
পেয়েছে।
বর্তমানে বন্ডেড
ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স
দুই বছর
পর পর
নবায়ন করতে
হয়। রফতানিকারকদের
পক্ষে ব্যবসায়িক
নানা জটিলতার
কারণে অনেক
ক্ষেত্রে নির্ধারিত
সময় অনুযায়ী
বন্ড লাইসেন্স
নবায়ন করা
সম্ভব হয়
না। ফলে
প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার
সম্মুখীন হতে
হয়। এতে
রফতানির ওপর
প্রভাব পড়ে,
শিল্পের সক্ষমতা
হ্রাস পায়।
এ সংকটময়
মুহূর্তে এটি
কোনোভাবেই কাম্য
নয়। প্রতিযোগিতামূলক
বিশ্ববাজারেও তৈরি
পোশাক শিল্পের
সক্ষমতা, প্রবৃদ্ধি
বজায় রাখা
এবং ব্যবসা
সহজীকরণ ও
ব্যয় কমানোর
জন্য বন্ড
লাইসেন্স নবায়নের
মেয়াদ দুই
বছরের পরিবর্তে
তিন বছর
করার জন্য
সরকারকে অনুরোধ
করছি। কাঁচামাল
আমদানিতে এইচএস
কোডসংক্রান্ত জটিলতা
নিরসনের জন্যও
অনুরোধ করছি।
বিশ্বে ব্যবসা
সহজীকরণে বাংলাদেশের
অবস্থান আরো
উন্নত করার
জন্য সেবা
প্রদানকারী সংস্থা,
যেমন কাস্টমস,
বন্দরের সেবা
প্রাপ্তি আরো
গতিশীল ও
সহজ করা
গেলে তা
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশকে
আরো উন্নত
করবে। পাশাপাশি
বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি
দিতে প্রয়োজন
নীতি স্থিতিশীলতা।
বিশেষ করে
দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক
ও রাজস্বসংক্রান্ত
নীতি স্থির
করা হলে
বিনিয়োগকারীরা স্বস্তির
সঙ্গে বিনিয়োগ
করতে পারবেন।
বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোশাক শিল্প খাত বর্তমানে বিভিন্ন চাপের কারণে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় শিল্পের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের অব্যাহত সহায়তার কোনো বিকল্প নেই। রফতানির ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, তা আরো বাড়ানো দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সুপারিশগুলো আসন্ন বাজেটে প্রতিফলিত হবে।