সীমিত
সরবরাহ দিয়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো চায়ের নতুন মৌসুমের প্রথম আন্তর্জাতিক নিলাম। সরবরাহ কম থাকায় মঙ্গলবার
অনুষ্ঠিত নিলামে কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় দামে বিক্রি
হয়েছে চা। প্রথম নিলামে কমলেও আগামী নিলামে তুলনামূলক বেশি চা সরবরাহের প্রত্যাশা
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামে ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ নিলাম ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয় ১৫ মার্চ। গতকাল ২০২৩-২৪ মৌসুমের প্রথম নিলামে মোট ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৭ কেজি চা নিলামের জন্য প্রস্তাব করা হয়। এসব চায়ের প্রায় ৯০ শতাংশই কিনে নেয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে প্রতি কেজি চায়ের গড় দাম ছিল (শুল্ক ছাড়া) ২৫৯ টাকা, যা কয়েক বছরের মধ্যে নিলামে কেজিপ্রতি চায়ের সর্বোচ্চ গড় দাম।
নিলাম প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ১৬ হাজার ৬২৭ প্যাকেটে নিলামে প্রস্তাব হওয়া চা এসেছে। এর মধ্যে ছিল ১৩ হাজার ৬৪০ প্যাকেটে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৬ কেজি দানাদার চা এবং ২ হাজার ৯৮৭ প্যাকেটে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫১ কেজি গুঁড়ো চা। যদিও বিদায়ী মৌসুমের প্রথম নিলামে ২১ হাজার ৩২২ প্যাকেটে ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৮ কেজি চা প্রস্তাব করা হয়েছিল।
সর্বশেষ মৌসুমের ৪৫তম নিলামে ২২ হাজার ৫৭৩ প্যাকেটে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩৯২ দশমিক ৭ কেজি চা বিক্রির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। শেষ নিলামে চা বিক্রি ৫০ শতাংশে নেমে এলেও কেজিপ্রতি গড় দাম ছিল ১৪০ টাকা।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দামে চা বিক্রি করেছে মধুপুর চা বাগান। প্রতিষ্ঠানটি ১০ প্যাকেট চা (প্রতি প্যাকেটে ৫৫ কেজি) ৪৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। জিবিওপি (বিটিআই) গ্রেডের ক্লোনাল ব্রোকেন চা কিনেছে জিটি নামের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ৪২৫ টাকা কেজি দরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাও বিক্রি করেছে মধুপুর চা বাগান। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ দামে চা বিক্রি করেছে লস্করপুর চা বাগান। সিডি গ্রেডের ১০ প্যাকেট চা কেজিপ্রতি ৩৫৭ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়েছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান লাভলী টি হাউজ। সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগামী নিলাম থেকে চা সরবরাহ ১০ লাখ কেজি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।