ইতালিতে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ব্রাজিলের
সাবেক ফুটবলার রবিনহোর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ইতালির পক্ষ থেকে ব্রাজিল সরকারের কাছে
রবিনহোকে কারাবাসে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে ব্রাজিলের বিচার
বিভাগ উদ্যাগ গ্রহণ শুরু করল। সাবেক তারকা ফরওয়ার্ডকে নয় বছরের কারাবাস দেয়া হবে
কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখতেই আপাতত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
তার পাসপোর্টও কর্তৃপক্ষের কাছে জমা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইতালির এসি মিলানে খেলার সময় একটি সংঘবদ্ধ
ধর্ষণের সঙ্গে রবিনহো জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে ইতালিতে তার বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্রও গঠন করা হয়। পরে ইতালির উচ্চ আদালত নয় বছরের সাজার রায় বহাল রাখে।
তখনই তার নামে ইন্টারন্যাশনাল ওয়ারেন্ট জারি হয়।
ব্রাজিলের আদালত শুক্রবার এক বিবৃতিতে
জানিয়ে দিয়েছে, বিচারক ফ্রান্সিসকো ফ্যালকাও এই ক্রীড়াবিদকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দিয়েছেন। পাঁচদিনের মধ্যে আদালতে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
রবিনহোর অপরাধের মাত্রা, মামলা নিয়ে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিক্রিয়া ও খেলোয়াড়টির দেশ থেকে পালানোর আর্থিক সঙ্গতির
মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছেন বিচারক ফ্যালকাও।
বিদেশে সাজা পেয়েছে নিজ দেশের এমন কোনো
নাগরিককে বহিঃসমর্পণ করে না ব্রাজিল। তাই ইতালি অনুরোধ জানিয়েছে, যেন রবিনহোর
সাজাটা ব্রাজিলেই হয়। তবে ব্রাজিলেই তার সাজা হবে কিনা, কিংবা কবে থেকে এটি
কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে দেশটির উচ্চ আদালত এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
ইতালির গণমাধ্যম জানায়, ঘটনার রাতে ২৩তম
জন্মদিন পালন করছিলেন রবিনহো। তিনি অবশ্য ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ
অস্বীকার করেছেন। ৩৯ বছর বয়সী রবিনহো বসবাস করেন সাও পাওলোর নিকটবর্তী স্যান্টোসে।
স্যান্টোস দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু রবিনহোর।
এরপর রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও এসি মিলানের মতো বড় ক্লাবে খেলেছেন। ২০২০
সালে তৃতীয়বারের মতো ফিরে আসেন স্যান্টোসে। যদিও ‘নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনে
ব্যর্থতা’র অভিযোগে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে স্পন্সর কোম্পানি, তাকে ক্লাবের
সঙ্গে চুক্তিও শেষ হয়ে যায়।