সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

‘স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’—জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ চেতনা ধারণ করে সবুজ প্রকৃতির মাঝে সগর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্বমানের শিক্ষাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষার এক আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকে জ্ঞান, বিজ্ঞানচর্চা, গবেষণা, মহান

স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই’—জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা ধারণ করে সবুজ প্রকৃতির মাঝে সগর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্বমানের শিক্ষাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কর্মমুখী শিক্ষার এক আদর্শ বিদ্যাপীঠ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকে জ্ঞান, বিজ্ঞানচর্চা, গবেষণা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত হয়ে বোঝা হবে না, হবে দেশের সম্পদ; আত্মনিয়োগ করবে সোনার বাংলা গড়ায় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

২০০৩ সালে ১৪৪ জন শিক্ষার্থী, তিনটি বিভাগ ১২ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা করে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এগিয়ে চলার দুই দশকে প্রতিষ্ঠান আজ ছয় হাজার শিক্ষার্থী, ১৩টি বিভাগ, ৩৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর এক বিশাল পরিবার। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সপ্তম স্থায়ী সনদ লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বল্প ব্যয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক মান অনুসারে সাজানো হয়েছে প্রতিটি বিভাগের কারিকুলাম।

শিক্ষাদানের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলছে পাঠদান।

ঢাকার উত্তরায় ১৭ নম্বর সেক্টরে লেকের পাড়ে নিজস্ব জমিতে আধুনিক স্থাপত্যবিন্যাসে নির্মিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সুবিশাল স্থায়ী ক্যাম্পাস। যেন এক সবুজ স্নিগ্ধ পরিবেশে ঘেরা। যেকোনো দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে মনমাতানো বাহারি ফুলের বুকে প্রজাপতি আর মৌমাছির নাচন। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সর্বদা মুখরিত থাকে ক্যাম্পাস।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা হয়েছে স্টেট অব আর্টস ল্যাব ফ্যাসিলিটি শ্রেণীকক্ষগুলোয়। ডিজিটাল বোর্ড, প্রজেক্টরসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংযুক্ত রয়েছে শ্রেণীকক্ষগুলোয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস ডিজিটালাইজড। লাইব্রেরিটি সম্পূর্ণ ওয়েবনির্ভর অটোমেশন প্রযুক্তিসম্পন্ন। লাইব্রেরিতে দেশী-বিদেশী প্রয়োজনীয় সব পুস্তকসহ জার্নাল, ম্যাগাজিন, গবেষণাপত্র প্রয়োজনীয় অডিওভিজুয়াল তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মুজিব কর্নার লাইব্রেরিটিতে পড়াশোনার জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন জোন। শিক্ষার্থীরা অনলাইনেও লাইব্রেরি থেকে পড়াশোনা করতে পারেন। পুরো ক্যাম্পাসটিই ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগের আওতাধীন কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব, সিভিল, ইলেকট্রনিক, ফার্মেসি মেকাট্রনিকস ল্যাব। ল্যাবগুলো স্টেট অব আর্টস ফ্যাসিলিটিজ সমৃদ্ধ। রয়েছে মাল্টিমিডিয়া সুবিধাসংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক অডিটোরিয়াম। যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স, সেমিনারসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। আছে বিশাল আকারের ক্যাফেটেরিয়া নামাজ কক্ষ।

উত্তরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। ঢাকা মেট্রোরেল এমআরটি লাইন--এর স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অবস্থান কাছাকাছি হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত হবে আরো সহজতর। অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম নিজস্ব অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে -লার্নিং শুরু করেছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে চালু রয়েছে ২৫টি প্রোগ্রাম। মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি প্রবর্তন করেছে এই প্রতিষ্ঠান। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বি এস সি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি  ইন সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ডাটা সায়েন্স, এমএসসি ইন টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অব ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড এ্যাপারেল টেকনোলজি, বিএসসি ইন অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিংআর্কিটেকচার, ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি ফার্ম), মাস্টার অব পাবলিক হেলথ প্রোগ্রাম, ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ব্যচেলর অব লজ (এল এল বি), মাস্টার অব লজ (এল এল এম), বি ইন ইংলিশ, এম ইন ইংলিশ, বি এড, এম এড মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। দেশ-বিদেশের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষকমণ্ডলী তাদের মেধা প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বনির্ভর জাতি গঠনে সহায়তা করে যাচ্ছে নিরলসভাবে।

এখানে প্রতি সেমিস্টারে দশমিক -এর বেশি সিজিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবী শিক্ষার্থী, আদিবাসী পিছিয়ে পড়া সমাজের ছেলেমেয়েদের, শিল্প-সাহিত্যের যেকোনো শাখায় পারদর্শী খেলাধুলায় যারা ভালো, তাদের জন্যও বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া দরিদ্র অসচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েদের সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা আফ্রিকার ৩৮টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ডুয়াল ডিগ্রি প্রোগ্রাম, স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ, ক্রেডিট ট্রান্সফার, বৃত্তি এবং সামার স্টাডি প্রোগ্রামের সুবিধা পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজের পূর্ণ সদস্য ইউনেস্কো প্রণীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন, অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ফর বিজনেস স্কুল অ্যান্ড প্রোগ্রাম এবং দি অ্যাসোসিয়েশন টু অ্যাডভান্স কলেজিয়েট স্কুলস অব বিজনেসেরও সদস্য।  সারা বছর নানা আয়োজনে ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং, ফটোগ্রাফি, রিসার্চ, সাংস্কৃতিক ল্যাংগুয়েজ ক্লাব। নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চৈত্রসংক্রান্তী, পিঠা উসব, ফল উসব, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনের আয়োজন হয় ক্লাব থেকে। ক্লাব সদস্যরা অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বন্যাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক . আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি হলো এমন নেতা তৈরি করা যারা তাদের মস্তিষ্ককে ক্ষুদ্রতম গবেষণাগার হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সামাজিক কল্যাণে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হবে। দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা একটি মানসম্পন্ন এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি যে আমি একজন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা এবং আমার স্বপ্ন আমার সহকর্মীদের কাছে বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমার সহকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি, মিশন এবং উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কৌশল এবং কর্মকে অনুবাদ করেছেন শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরির জন্য।

তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ২৫টি মানসম্পন্ন প্রোগ্রাম অফার করার জন্য গর্ববোধ করে, যা গ্র্যাজুয়েটদের সমালোচনামূলক চিন্তাবিদ, কার্যকর যোগাযোগকারী, উদ্ভাবনী সমস্যা সমাধানকারী, আজীবন শিক্ষার্থী এবং নৈতিক নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন, আজকের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে বড় হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আরও