‘সাশ্রয়ী খরচে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা’র ভিশন নিয়ে আমাদের যাত্রা হয়েছিল। তখন আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল, ভবনও কম ছিল। এখন আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ হাজারের অধিক স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে আমাদের ৯টি প্রোগ্রামে পাঠদান চলছে। আশা করছি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিক সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোপুরি শিফট করতে পারব। ভিসি মহোদয় যে মহান ব্রত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি শুরু করেছেন আমরা সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলেছি বলেই এতটা উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমাদের মানসম্পন্ন ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগে আমাদের কোনো আপস নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশাবলি যথাযথভাবে পালন করেই আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কোনো পদ আমরা শূন্য রাখিনি। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, কন্ট্রোলার, রেজিস্ট্রার সব পদই পরিপূর্ণ।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রেও আমরা খুব সচেতন। এজন্য পরীক্ষার খাতার এবং প্রতিটি পাতাকে আমরা বিশেষায়িত করেছি। গ্র্যাজুয়েটদের সনদপত্রও চারটি বিশেষ সিকিউরিটি কোডের মাধ্যমে বিশেষায়িত করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাতটি সমাবর্তন আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং অষ্টম সমাবর্তনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের এখান থেকে প্রায় ২৯ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এরই মধ্যে সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন।
নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা থেকে যেন বঞ্চিত না হয়, সে দিকটা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোটায় শতকরা ছয়জন শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে পড়ানো হয়। মেধাবীরা তো আছেই। এছাড়া বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর বৃত্তিও দেয়া হয়। এতিম ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনা খরচে শিক্ষা দিয়ে থাকি। দুজন প্রতিবন্ধী আমাদের এখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এখন ভালো চাকরি করছে। এছাড়া সেমিস্টারপ্রতি ১০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশাপাশি আমরা প্রতি বিভাগেই একটি করে লাইব্রেরি স্থাপন করেছি। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা রিসার্চ সেল। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।
এখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই, নেই কোনো উচ্ছৃঙ্খল ও অযৌক্তিক আন্দোলন। যেকোনো যৌক্তিক দাবি শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে উপস্থাপনের মাধ্যমে আদায় করে নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সুন্দর পরিবেশে কাজ করছেন। কারো কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। সবাই বেতন পাচ্ছেন যথাসময়ের মধ্যেই। সবশেষে আমি একটি কথা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজ পর্যন্ত ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ তোলার মতো উপলক্ষ সৃষ্টি হয়নি।