কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি

রমজানের জন্য খোলা হয়েছে পর্যাপ্ত এলসি

মাহে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির পর্যাপ্ত ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গত মাসে যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে, তা ২০২২ সালের জানুয়ারির চেয়েও বেশি। ব্যবসায়ীরা ডলার সংকটের কারণে এলসি না খুলতে পারার যে অভিযোগ করছেন, সেটিকেও ভিত্তিহীন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো.

মাহে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির পর্যাপ্ত ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গত মাসে যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে, তা ২০২২ সালের জানুয়ারির চেয়েও বেশি। ব্যবসায়ীরা ডলার সংকটের কারণে এলসি না খুলতে পারার যে অভিযোগ করছেন, সেটিকেও ভিত্তিহীন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের আমদানি পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

রমজানে চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ যেসব ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলোর পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেজবাউল হক। তিনি বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দেশে চিনি আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল লাখ ১১ হাজার ৪৯২ টন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন চিনি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ভোজ্যতেল আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ টন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন ভোজ্যতেল আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল। একইভাবে বেশি খোলা হয়েছে ছোলা পেঁয়াজের এলসিও। গত জানুয়ারিতে খেজুর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮১ টন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৬ হাজার ৪৯৮ টন খেজুর আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল।

মেজবাউল হক বলেন, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে। রমজান শুরুর আগে এসব এলসির পণ্য দেশে আসবে। সরবরাহ শৃঙ্খলা ঠিক থাকলে রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো আমদানি দায় পরিশোধের জন্য নিজেরাই বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করে। কোনো ব্যাংকের হাতে আমদানির দায় পরিশোধের ডলার না থাকলে সেটি ভিন্ন কথা। তার মানে এটি নয়, দেশের ব্যাংক খাতে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংকগুলোকে এলসি দায় পরিশোধে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে ৯২০ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এর আগে কখনই এত পরিমাণ ডলার বিক্রি করতে হয়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুখপাত্র বলেন, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রফতানি রেমিট্যান্স আয় প্রবৃদ্ধির ধারায় আছে। নতুন এলসি খোলা অনেক কমে এসেছে। আশা করছি, সহসা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

আরও