মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানা দরকার, না জানা অপরাধ। মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক নাড়ি দিয়ে। আর দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধ দিয়ে। তাই এর ইতিহাস জানতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জীবনীর ওপর রচিত আকতার হোসেনের ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ নামক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
কবি আসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আলোচক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, কথাসাহিত্যিক ফরিদা রহমান, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার ও আবুল কাশেম চৌধুরী খালেদ প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই শব্দের দুটি বর্ণ। তিনি শুধু দেশ স্বাধীন করে ক্ষান্ত হননি। একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে লেগে ছিলেন। তার সেই স্বপ্ন বর্তমানে তার কন্যা বাস্তবায়ন করছেন। আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে বই প্রকাশ হলেও গণহত্যা নিয়ে বিশেষ কোনো বই আমার নজরে পড়েনি। নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে জানানোর জন্য লেখকদের উচিত গবেষণা করা এবং লেখা। যুদ্ধের সময় বিদেশী বাঙালিরা অনেক সাহায্য করেছেন। বিশেষ করে সিলেটের বাংলাদেশীরা। যাদের কথা কেউ জানে না। তাদের অভিবাদন জানাই।’
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জানে। আমরা ১৯৭১-এ নিয়েছি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমান সময়ে খুব তোষামোদি চলে। এসব বন্ধ করে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’