আজ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর জন্মদিন। অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে এ শিল্পীর। বছর শেষে এবং চলতি বছরের শুরুতে তার দুটি মৌলিক গান প্রকাশ হয়েছে। ‘অপরাহ্নে’ গানটি লিখেছেন রেবেকা জামান পলিন, সুর করেছেন দূর্বা চৌধুরী। নতুন বছরের শুরুতেই প্রকাশ হয় ফাহমিদা নবী ও তাসলিম হাসানের কণ্ঠে ‘কোনো মানে নেই’। এটি লিখেছেন প্রয়াত সাংবাদিক ও গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল। সুর সংগীত করেছেন জিয়া খান।
জন্মদিন ও নতুন বছরের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আমি বা আমরা সব ভাই-বোন আসলে আমার বাবা শ্রদ্ধেয় মাহমুদুন্নবীর আদর্শ ও জীবনবোধকে মাথায় রেখেই জীবনের পথে এগিয়ে চলি। আমাদের জীবনে খুব বেশি চাওয়া নেই। বাবা গানকেই জীবনভর ভালোবেসে গেছেন, আমরাও তাই গানকে ভালোবেসে, গানের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থেকে শুদ্ধ, সুন্দর ও সুস্থভাবে জীবন কাটাতে চাই।’
এখনকার ভিউ সংস্কৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন গানের ভিউয়ের কথা বলে, আমি তো বলি গানের শ্রোতাদের কথা। গান দেখার বিষয় নয়, গান সবসময়ই শোনার বিষয়। আমার মৃত্যুর পরও যেন আমার গাওয়া গান যুগের পর যুগ মানুষ আগ্রহ নিয়ে শোনে, সেই স্বপ্ন আর আশা থেকেই এখনো ভালো গান করার চেষ্টাটাই আছে, আমাদের ভাই-বোনদের মাঝে।’
শিল্পী জীবনের দর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘গায়ক কিংবা গায়িকা হয়তো অনেকেই হতে পারে। কিন্তু সত্যিকারের শিল্পী সবাই হতে পারে না। শিল্পী হতে হলে তাকে অবশ্যই অহংকারী নয়, যথেষ্ট বিনয়ী হতে হয়, গানের প্রতি পরম ভালোবাসা থাকতে হয়। শুধু স্টেজ শো করে গেলাম, টাকা রোজগার করলাম, এভাবে শিল্পী হওয়া যায় না। সম্মান ও সম্মানীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনই হলো একজন প্রকৃত শিল্পীর পরিপূর্ণ জীবন। চলতি বছরে আমার ইউটিউব চ্যানেলেও আরো কিছু নতুন মৌলিক গান প্রকাশ পাবে।’
জন্মদিন নিয়ে ফাহমিদা নবী জানান, আজ ও আগামীকাল তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হবেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে থাকবেন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের ‘তারকা কথন’ অনুষ্ঠানে। রাত ১১টা ২৫ মিনিটে বাংলাভিশনে সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন তিনি এবং আগামীকাল রাত ১১টা ১৫ মিনিটে এনটিএন বাংলায় সরাসরি অনুষ্ঠানে থাকছেন এ শিল্পী।
এনামুল করিম নির্ঝর পরিচালিত সিনেমা ‘আহা!’-এর ‘লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প’ গানটির জন্য ২০০৭ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার বাবা কিংবদন্তি শিল্পী মাহমুদুন্নবী। ফাহমিদা নবীর ছোট বোন সামিনা চৌধুরীও এ দেশের আরেক গুণী শিল্পী।