ভ্রমণ ও অবকাশ খাত

প্রথম প্রান্তিকে অধিকাংশ কোম্পানির ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি

চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পরিধি বেড়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ভ্রমণ অবকাশ খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসার পরিধি বেড়েছে। মূলত আগের বছরের একই সময়ে সরকারের দেয়া কারোনা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে খাতের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা খারাপ হয়েছিল। সর্বশেষ প্রান্তিকে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারায় তাদের আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

দেশের পুঁজিবাজারে ভ্রমণ অবকাশ খাতের চারটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। সেগুলো হলো ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের আয় হয়েছে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৩২ দশমিক ১৪ শতাংশ। বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল মাত্র ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল পয়সা। মূলত করোনা-পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি স্বাভাবিক ব্যবসায় ফেরায় তাদের আয় বেড়েছে। আর আয় বৃদ্ধির প্রভাব কোম্পানিটির নিট মুনাফায়ও যুক্ত হয়েছে।

তালিকাভুক্ত ভ্রমণ অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বিচ রিসোর্টের চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে পরিচালন আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন আয় বেড়েছে ১৬৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আয় বাড়ার পাশাপাশি আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে কর-পরবর্তী নিট লোকসান ছিল কোটি লাখ টাকা। চলতি বছরের প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ২৭ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল পয়সা।

নিট মুনাফা তথা ইপিএস বাড়ার কারণ হিসাবে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের রিসোর্টের রুম ব্যবসা থেকে ভালো আয় হয়েছে। এছাড়া ওয়াটার পার্কের পরিপূর্ণ ব্যবহার হয়েছে, যা থেকে ভালো আয় এসেছে। এর বাইরে ক্রজ জাহাজ অন্যান্য কার্যক্রম থেকেও তাদের ভালো ব্যবসা হয়েছে। এসব কারণে সর্বশেষ প্রান্তিকে আয় বাড়ায় কোম্পানিটির নিট মুনাফায়ও তার প্রভাব যুক্ত হয়েছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ের আয় হয়েছে কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল কোটি ৮১ লাখ টাকা। সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৬৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আয় বাড়লেও বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি অপরিচালন মুনাফা কমায় সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল কোটি ৭০ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে ইপিএস ছিল ৩১ পয়সা। মূলত সর্বশেষ প্রান্তিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, আর্থিক আয় হ্রাস পাওয়া, প্রশাসনিক ব্যয় বৃদ্ধি অপরিচালন আয় কমে যাওয়ায় নিট লোকসান গুনতে হয়েছে কোম্পানিটিকে।

তালিকাভুক্ত ভ্রমণ অবকাশ খাতের আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিসেসের চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ৩০ কোটি লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে লোকসান ছিল ৩৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান কমেছে ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সর্বশেষ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে টাকা পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল টাকা ৯৮ পয়সা।

আরও