ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ স্পেনে এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির পর্ষদের সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। গতকাল এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার কথা জানিয়েছে ব্যাংকটি।
যমুনা ব্যাংকের শতভাগ মালিকানাধীন যমুনা মানি ট্রান্সফার এসএল স্পেনের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ ইউরো। ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং স্পেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপন করা হবে। প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনার উদ্দেশ্যেই এ এক্সচেঞ্জ স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যমুনা ব্যাংক।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৯৩ পয়সায়। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩২ টাকা ৭৫ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৪১ পয়সায়।
এর আগের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। ২০১৮ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।