পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্লাটফর্ম এসএমই মার্কেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা স্থগিতের বিষয়টি এ বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। এরই মধ্যে এ আদেশের কপি বিএসইসি, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি), ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চিটাগং
স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর দিলকুশার বাসিন্দা মো. রাজু হাসানের পক্ষে এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল।
গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৮৩৩তম কমিশন সভায় এসএমই মার্কেটে লেনদেনের ক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুরনো যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সিদ্ধান্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বিনিয়োগসীমা ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত করতে তিন মাস সময় দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে বিএসইসি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেঙ্গল বিস্কুটস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, মাস্টারফিড এগ্রোটেক, অরিজা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও হিমাদ্রি লিমিটেডকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে এসএমই মার্কেট। বর্তমানে এ মার্কেটে ১৫টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।