ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের পর্ষদ সভা আজ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেডের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেডের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ। সভায় সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে। এছাড়া সভায় চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিচালন লোকসান হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোটি ৫৪ লাখ টাকা পরিচালন মুনাফা হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ৩৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ টাকা ৬৯ পয়সা। বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়।

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে ১৬০ শতাংশ লভ্যাংশের সুপারিশ করে ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ টাকা ১৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২৭ টাকা ৬৩ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭৮ টাকা ৪৫ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল টাকা ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৩ টাকা ৪৫ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭৮ টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮২ টাকা ৭৬ পয়সা।

১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের অনুমোদিত মূলধন কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮০০। এর মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের হাতে। এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক শূন্য শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৯৩ শতাংশ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে বাকি ২৭ দশমিক শূন্য শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আরও