পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (ডিজিআইসি) লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গতকাল ডিএসইর মাধ্যমে প্রকাশিত কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমার্ধে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭২ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ১১ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১৫ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ডিজিআইসির পর্ষদ। গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির এজিএমে ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজন্ডায় শেয়ারহোল্ডাদের অনুমোদন নিয়েছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ১ জুন।
আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। তার আগের হিসাব বছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন-লাইফ বীমা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ডিজিআইসির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৩০ টাকা ৩০ পয়সা।