টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্টের পর টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০তে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা (১৬৯/৫)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্টের পর টি২০ সিরিজও হারল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি২০তে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা (১৬৯/৫)।

 

দলের জয়ে ওপেনার কাইল মায়ার্স খেলেন ৩৮ বলে ৫৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলেও দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে ২-০ তে সিরিজ নিজেদের করে নিল উইন্ডিজরা।

 

শুরুতে ৬.১ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভীষণ চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে ফেরানো নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারে এনে দেন সাফল্য। যদিও ওভারের শুরুর বলেই ছক্কা হজম করেন তিনি। শেষ বলে পেয়ে যান সুফল। ব্রেন্ডন কিং প্রলুব্ধ হয়ে খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ৫ বল খেলা কিং হাত খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ৭ রান করে।


চতুর্থ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে শামার ব্রুকসকে (১২) এনামুল হক বিজয়ের তালুবন্দি হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় স্বাগতিক দল। সপ্তম ওভারে সাকিব নিজের প্রথম বলেই ওডিন স্মিথকে (২) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেললে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু পরে সফরকারীদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে মায়ার্স-পুরান মিলে ম্যাচটা বের করে আনেন। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ৮১ রানের জুটিতে চাপও কাটিয়ে উঠে তারা।

 

মায়ার্স ৩৮ বলে ২টি চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। তাকে ফেরান নাসুম। তার পর ঝড় অব্যাহত রাখেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১৮.২ ওভারে একাই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তার আগে রোভম্যান পাওয়েল ৫ রানে আফিফের বলে ফিরলেও জয়ের পথে তা সমস্যা হতে পারেনি। পুরান ৩৯ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার ও ছয়ের বাউন্ডারি। সিরিজ সেরা ও ম্যাচসেরা দুটোই হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক।

 

নাসুম ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। মেহেদী ৪ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট। ২ ওভারে ১০ রানে একটি উইকেট নেন সাকিব।

 

এর আগে টস জিতে আগে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের শুরুটাও বেশ ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে তুলতে পারে ৪৪ রান। দুই ওপেনার এনামুল হক ও লিটন দাসের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ২.৪ ওভার পর্যন্ত ছিল না কোনো বাউন্ডারি। পরে আস্তে আস্তে হাত খুলতে থাকেন দুজন। পঞ্চম ওভারে বেশি আগ্রাসী হতে যাওয়ার মাশুল দেন এনামুল। দীর্ঘদিন পর ফেরা এনামুল এই ম্যাচে করেন ১১ বলে ১০ রান। এর পর সাকিব নেমে রোমারিও শেফার্ডের শর্টার লেংথের বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে স্মিথের তালুবন্দি হন। ৩ বলে ৫ রান করেন সাকিব। এর পর ধীরে গতিতে রান তুলেছেন লিটন-আফিফ।

 

দলকে বেশ দূর এগিয়ে নিলেও হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকতে কপাল পুড়ে লিটনের। হেইডেনের ওয়ালশের বলে আকিল হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৪১ বলে ৪৯ রানে ফেরেন এই ওপেনার। ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়। তাতে ভেঙে যায় ৪৪ বলে আফিফ-লিটনের করা ৫৭ রানের জুটিও। তবে তার বিদায়ের মুহূর্তেই ১২.৫ ওভারে স্কোর হয়ে যায় ৯৯।

 

তার পর আফিফ-মাহমুদউল্লাহ দলকে আরো এগিয়ে নেয়ার চেষ্টার করেন। ৩৫ বলে যোগ দুজনে যোগ করেছেন ৪৯ রান। মন্থর এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২০ বলে করেন ২২ রান।।

 

এর পরেই আফিফ টি২০তে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চেুরি পূর্ণ করে রানআউট হন। ৩৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৫০ রান। শেষ ওভারে মোসাদ্দেক দুটি চার মেরে স্কোরটা নিয়ে যান চ্যালেঞ্জিং একটা জায়গায় (১৬৩/৫)। মোসাদ্দেক ৬ বলে ১০ রান করেছেন। নুরুল হাসান ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।  

 

২৫ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র। একটি করে উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড ও ওডিন স্মিথও।

 

আগামী রোববার শুরু হবে দুই দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

আরও