ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিষ্ঠাতা, সিএমইডি হেলথ। তিনি ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। তত্ত্বাবধান করছেন পুরো ‘ক্লাউড বেজড মেডিকেল সিস্টেম ফর হেলথ মনিটরিং’ প্রকল্পটি। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পিএইচডি অর্জন করেন যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অধ্যাপনা করছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) বাংলাদেশে। যুক্ত আছেন পেশাভিত্তিক অনেক সংগঠনেও। তার আগ্রহের ক্ষেত্র হেলথ সিস্টেম ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, হেলথ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড টেলিমেডিসিন, মেডিকেল ডাটা অ্যানালিটিকস প্রভৃতি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা
সিএমইডি কেন,
কী উদ্দেশ্যে শুরু করেছেন?
আমরা
সিমেড বলি।
বিস্তারিতভাবে বিষয়টি
হলো ক্লাউড
বেজড মেডিকেল
সিস্টেম ফর
হেলথ মনিটরিং,
রিস্ক প্রেডিকশন
ও রেফারেল।
এটা মূলত
ছিল ইউনাইটেড
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
এইমস ল্যাবের
একটি গবেষণা
প্রকল্প। প্রকল্পটি
আমরা শুরু
করি ২০১৫
সালে। এ
প্রকল্পের মূল
উদ্দেশ্য ছিল
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার
সমস্যাগুলো কী,
মানুষ কেন
এত দুর্ভোগ
পোহাচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা
প্রদান, রেফারেল
ও অন্য
দিকগুলোর উন্নয়নে
প্রযুক্তি কীভাবে
ব্যবহার করতে
পারে, এদিকগুলো
খতিয়ে দেখা।
ওই মডেলটি
আমরা ২০১৬
সালে প্রকাশ
এবং পেটেন্ট
করি।
ওই
মডেলটি পরবর্তী
সময়ে বাণিজ্যিকীকরণ
হয় আইসিটি
ডিভিশন এবং
গ্রামীণফোন এক্সিলেটরের
সহযোগিতায়। সংক্ষেপে
বলা যায়,
এটি বাংলাদেশের
প্রথম কোনো
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের
গবেষণার বাণিজ্যিকীকরণের
উদাহরণ। এটি
ইউনিভার্সেল হেলথ
কাভারেজ অর্জনের
জন্য জরুরি।
আমাদের মডেলে
প্রতিটি মানুষের
একটি ডিজিটাল
হেলথ অ্যাকাউন্ট
থাকবে। এ
মডেল ব্যবহার
করে মানুষের
যত স্বাস্থ্যসংক্রান্ত
কর্মকাণ্ড আছে,
সেটা যদি
আমরা ভালোভাবে
আয়ত্ত করতে
পারি, তাহলে
সবাইকে কম্প্রিহেনসিভ
স্বাস্থ্যসেবার আওতায়
আনতে পারব।
একই সঙ্গে
দ্রুত আমাদের
ইউনিভার্সেল হেলথ
কাভারেজও অর্জন
হবে।
মডেলটি সম্পর্কে একটু বলবেন?
মডেলটি
সম্পর্কে একটু
বলা যাক,
২০০০ থেকে
২০১০ সাল
পর্যন্ত বাংলাদেশে
প্রচুর সেলফোন
ইনক্লুশন হয়েছে।
যার ফলে
ঘরে ঘরে
এখন সেলফোন।
সেলফোন মানুষের
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
সহজতর করেছে,
যোগাযোগের উন্নতি
ঘটিয়েছে। একইভাবে
২০১০ থেকে
২০২০ সালের
মধ্যে আমরা
দেখেছি যে,
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল
ইনক্লুশন হয়েছে।
এ সেবার
মাধ্যমে জনগণ
টাকা পাঠানো
থেকে শুরু
করে অন্যান্য
লেনদেন খুব
সহজে করতে
পারছে। যে
মডেলটা নিয়ে
কাজ করছি
তাতে আমরা
বলছি, ২০২১
থেকে ২০৩০
সাল আমাদের
এসডিজি অর্জনের
যে ১০
বছর আছে
সেখানে হেলথ
ইনক্লুশন নিশ্চিত
করা জরুরি।
প্রতিটি মানুষের
হেলথ অ্যাকাউন্ট
থাকতে হবে।
সেই ডিজিটাল
হেলথ অ্যাকাউন্টের
মাধ্যমে নিয়মিত
ব্যক্তির স্বাস্থ্য
মনিটরিং হবে।
স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি
বাড়ি গিয়ে
বিভিন্ন হেলথ
প্যারামিটার চেক
করবেন, তার
কোনো সমস্যা
আছে কিনা
সেটি নির্ণয়
করতে পারবেন
এবং সে
অনুযায়ী পদক্ষেপ
গ্রহণ করতে
পারবেন। তার
মানে এই
হেলথ সিস্টেমে
ঘরে বসেই
প্রিভেনটিভ ও
প্রাইমারি হেলথ
কেয়ার, রিস্ক
অ্যাসেসমেন্ট, রিস্কের
ওপর ভিত্তি
করে তাকে
পরবর্তী পদক্ষেপের
জন্য রেফারেলে
সহায়ক হবে।
এখানে
দুটো বিষয়।
এক. হেলদি
লিভিং, কীভাবে
সুস্থ থাকা
যায় এবং
প্রিভেনশন, নিয়মিত
মনিটরিং করে
কীভাবে প্রতিরোধমূলক
ব্যবস্থা নেয়া
যায়। দুই.
অসুস্থ হলে
রোগনির্ণয় ও
চিকিৎসা। সেজন্য
হাসপাতালের ওপিডি,
আইপিডি যেখানে
দরকার যেতে
হবে। এ
পুরো প্রসেস
সহজ করার
জন্য সর্বাধুনিক
প্রযুক্তি ব্যবহারের
মাধ্যমে একটা
কম্প্রিহেনসিভ, সর্বজনীন
মডেল তৈরি
করছি। এর
মাধ্যমে প্রতিটি
মানুষকে স্বাস্থ্যসেবাটা
দিতে পারব
এবং তাদের
উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে
পারব।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার কথা বলছেন
সেটি তো
সরকারি খাতই
করে থাকে।
আপনারা কেন
করছেন?
সরকার
৫০ বছর
ধরে চেষ্টা
করছে। আমরা
মনে করি,
সরকার সবকিছু
করে ফেলবে
সেটিও ঠিক
নয়, আবার
ব্যক্তি খাত
থেকে আমরাও
যে সবকিছু
করব না
তাও ঠিক
নয়। আমাদের
সম্মিলিতভাবে কাজ
করতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি
উদ্যোগে সমন্বিতভাবে
করা গেলে
এটা যেমন
সরকারের জন্য
সহযোগিতা হবে,
আবার আমরা
দেশের উন্নয়নে
অবদান রাখতে
পারব। এরই
মধ্যে আমরা
এই মডেল
নিয়ে পিকেএসএফের
সঙ্গে শুরু
করেছি।
বিদ্যমান
মডেলে আমরা
একটা ইউনিয়ন
নিয়েছি। সেখানে
একজন চিকিৎসক
থাকবেন। দুজন
প্যারামেডিক বা
হেলথ অফিসার
থাকবেন। একজন
প্যারামেডিকের অধীনে
সাতজন করে
হেলথ ভিজিটর
থাকবেন। সেই
হেলথ ভিজিটর
আইওটি বেজড
হেলথ স্মার্টকিট
এবং স্মার্টফোন
অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে
দৈনিক ২০টি
বাড়ি ভিজিট
করবেন। হেলথ
চেকআপ করে
স্বাস্থ্যসেবা দিবেন
এবং টেলিমেডিসিন
সেবা প্রদান
করবেন। প্রয়োজনবোধে
হেলথ অফিসার
জিপি চিকিৎসকের
কাছে রেফার
করবেন। সেখানে
ইনহাউজ সেবা
দেয়া হবে।
মডেলটি ২০১৮
সালে পিকেএসএফ
ও সজাগের
সঙ্গে যৌথভাবে
প্রথমে ধামরাইয়ের
সোমভাগ ইউনিয়নে
শুরু করি।
ওই ইউনিয়নের
সাত হাজার
পরিবারের ৩২
হাজার মানুষের
সবার হেলথ
অ্যাকাউন্ট তৈরি
হয়েছে আমাদের
প্লাটফর্ম ব্যবহার
করে। বর্তমানে
নিয়মিতভাবে তাদের
চেকআপ হচ্ছে,
ঝুঁকি নির্ণয়
হচ্ছে। শুধু
স্বাস্থ্য নয়,
তাদের আর্থসামাজিক,
জনমিতিক পরিবেশগত
সব তথ্য
পাচ্ছি আমরা।
ব্যক্তি, পরিবার,
পরিপার্শ্ব সব
মিলিয়ে প্রায়
১০০টির মতো
প্যারামিটার সংগ্রহ
করা হয়।
এর মাধ্যমে
আমরা দেখতে
পারি, ওই
ইউনিয়নে বসবাসকারী
মানুষের মধ্যে
কোন রোগটি
বেশি হচ্ছে,
কোন সমস্যা
বেশি হচ্ছে,
তারা নিরাপদ
পানি পান
করে কিনা,
স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট
ব্যবহার করে
কিনা, তাদের
আয়ক্ষমতা কেমন,
তাদের ওষুধের
খরচ কত
প্রভৃতির একটা
ব্যাপকভিত্তিক চিত্র
আমরা নিয়ে
আসছি। ২০১৯
সালে এসব
তথ্য সংবলিত
একটা প্রতিবেদন
প্রকাশ করি
আমরা। সবাই
এটা পছন্দ
করে। এরপর
এ মডেল
৩৬টি জেলার
আরো ৫০টি
ইউনিয়নে পিকেএসএফ
এবং তার
সহযোগী সংস্থা
সবাই মিলে
এটি স্কেলআপে
আমাদের সাহায্য
করে। এ
মুহূর্তে বাংলাদেশের
১৩ লাখ
মানুষ এবং
প্রায় তিন
লাখ পরিবার
৫১টি ইউনিয়নে
এ সেবা
পাচ্ছে। আমরা
এখান থেকে
বসে পুরো
কার্যক্রমটি দেখতে
পারি। আমরা
মনে করি,
এ মডেলকে
কিছুটা পরিমার্জিত
করে স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের আওতায়
কমিউনিটি ক্লিনিক
এবং ইউনিয়ন
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের
মাধ্যমে সর্বজনীন
স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ
করে প্রিভেনটিভ
ও প্রাইমারি
কেয়ার আমরা
নিশ্চিত করতে
পারি। এ
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাকে
আমরা শেখ
হাসিনা হেলথ
কেয়ার হিসেবে
উল্লেখ করছি।
তাহলে আগামী
তিন-চার
বছরের মধ্যে
আমরা কাঙ্ক্ষিত
লক্ষ্য অর্জন
করতে পারব।
তখন আমরা
সেকেন্ডারি ও
টারশিয়ারির দিকে
চিন্তা করতে
পারব। আমরা
দেখছি, পুরো
প্যাকেজটিতে একটি
পরিবার মাসে
১০০ টাকার
বিনিময়ে স্বাস্থ্যসেবা
নিতে পারে।
বিশ্বের যেকোনো
দেশে এর
চেয়ে সাশ্রয়ী
মডেল আর
নেই।
এতে কী
কী সুবিধা হবে?
এতে
করে আমাদের
দেশের প্রধান
যেসব স্বাস্থ্য
সমস্যা আছে
সেগুলো সহজেই
অ্যাড্রেস করা
যাবে। এখন
আমাদের প্রধান
জনস্বাস্থ্য সমস্যা
নন-কমিউনিকেবল
ডিজিজ (এনসিডি),
ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন,
স্ট্রোক, ক্যান্সার
প্রভৃতি। বর্তমানে
বাংলাদেশে মারা
যাওয়া প্রতি
১০০ মানুষের
মধ্যে ৬০-৭০
শতাংশ রোগীই
মারা যাচ্ছে
এসব রোগে।
এসব রোগ
৯০ শতাংশই
প্রতিরোধযোগ্য। তার
মানে, আমরা
৯০ শতাংশ
রোগই প্রতিরোধ
করতে পারব।
এতে মানুষের
গড় আয়ু
বাড়বে এবং
তারা সহজভাবে
তাদের জীবন
সামলাতে পারবে।
এসব রোগ
প্রতিরোধ করা
গেলে মানুষের
উৎপাদনশীলতাও বেড়ে
যাবে এবং
একই সঙ্গে
অকালমৃত্যু কমে
যাবে। সেই
সঙ্গে মডেলটি
যেহেতু কম্প্রিহেনসিভ
ও ডিজিটাল,
সেহেতু আমরা
হেলথ রেকর্ডস
নিশ্চিত করতে
পারব। একই
সঙ্গে এখানে
রেফারেল সিস্টেমও
শক্তিশালী হবে।
আমাদের দেশে
ব্যক্তির স্বাস্থ্য ব্যয় বেশি
কেন? এটি
কীভাবে কমিয়ে
আনা যায়?
আরেকটা
বিষয় হলো,
আমাদের দেশে
স্বাস্থ্য ব্যয়ের
৭৪ শতাংশই
ব্যক্তির পকেট
থেকে যাচ্ছে।
আমাদের কোনো
হেলথ প্রটেকশন
স্কিম নেই,
স্বাস্থ্যবীমা নেই।
কেন নেই?
আমাদের দেশে
কোনো তথ্য
নেই, ডিজিজের
প্যাটার্ন নেই।
আমরা কোনো
কৌশল জানি
না। যা
আছে তা
পর্যাপ্ত নয়।
কাজেই এ
মডেলের মাধ্যমে
প্রচুর তথ্য
পাব, যেগুলো
দিয়ে বীমা
পলিসি তৈরি
করতে পারব।
সবচেয়ে বড়
কথা, তথ্যভিত্তিক
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত
করতে পারব।
আমাদের
কাছে যদি
ব্যাপকভিত্তিক তথ্য
থাকে কোন
রোগটা বেশি,
সেই অনুযায়ী
প্রিভেনটিভ ম্যাকানিজম
করতে পারব।
আমরা এ
মডেলে আরো
কিছু বিষয়
অন্তর্ভুক্ত করেছি।
প্রধান রোগগুলো
যদি আগে
থেকে রেগুলার
স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে
চিহ্নিত করতে
পারি, তাহলে
আগেই ব্যবস্থা
গ্রহণ করা
সম্ভব। যেমন
ক্যান্সারের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি
ব্রেস্ট ক্যান্সার
পরিলক্ষিত হয়।
প্রতি বছর
১৩ হাজারের
অধিক নারী
আক্রান্ত হয়
এবং ছয়
হাজারের অধিক
মারা যায়
ব্রেস্ট ক্যান্সারে।
অনেক মানুষ
ক্যান্সার চিকিৎসায়
সর্বস্বান্ত হয়ে
যাচ্ছে। আমরা
একটা প্রটোকল
তৈরি করেছি
ব্রেস্ট স্ক্রিনিংয়ের
জন্য। এটা
আমরা ক্লিনিক্যালি
ভ্যালিডেট করেছি।
এর মাধ্যমে
স্বাস্থ্যকর্মী প্রতি
বাড়ি গিয়ে
প্রতিটি নারী-মায়ের
ব্রেস্ট ক্যান্সার
স্ক্রিনিং করবেন,
তাহলে কোনো
মায়ের ব্রেস্ট
ক্যান্সারের আশঙ্কা
আছে কিনা
সেটি আগেই
জানা যাবে।
আগে থেকে
পদক্ষেপ গ্রহণ
করলে চিকিৎসা
খরচও সাধ্যসীমার
মধ্যে থাকবে।
কাজেই আমরা
অর্থ সাশ্রয়
করতে পারব,
সেই সঙ্গে
একটা পরিবারকে
ভোগান্তি থেকে
পরিত্রাণ দিতে
পারব।
মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যে
কাজ করছেন
তার নিশ্চয়তা কীভাবে নিশ্চিত করবেন?
আমাদের
টেকনোলজি এমনভাবে
ডিজাইন করা
যে, এটি
দুটো বিষয়
নিশ্চিত করে।
সুবিধাভোগীরা যেন
মানসম্মত সেবা
পায় এবং
আমরা যেন
আমাদের প্রোভাইডার
বা স্বাস্থ্যকর্মীকে
মনিটর করতে
পারি। আমরা
প্রোভাইডারদের দুভাবে
মনিটর করি।
প্রথমত তাদের
টার্গেট হলো
প্রতিদিন ২০টি
বাড়িতে যেতে
হবে এবং
সেখানে মানসম্মত
সেবা ও
কাউন্সেলিং দিতে
হবে। সেটা
করছে কিনা,
তা তো
আমরা দূর
থেকে দেখতে
পাব না।
এজন্য আমরা
র্যানডম ভিজিট
করে তার
সার্ভিসটা মনিটর
করি এবং
সুবিধাভোগীদের মতামত
নেয়া হয়।
দ্বিতীয়ত, আমাদের
ডিভাইসগুলো যেহেতু
অটোমেটেড, ম্যানুয়েল
ডাটা এন্ট্রির
কোনো অপশন
নেই, সেহেতু
মানুষের ব্লাড
প্রেশার, রক্তের
গ্লুকোজ, রক্তের
অক্সিজেন বা
অন্যান্য পরিমাপের
তথ্য আমাদের
সিস্টেমে সংরক্ষিত
হয়। দিনশেষে
স্বাস্থ্যকর্মীর ড্যাশবোর্ডে
সব তথ্য
চলে আসে
এবং সেখানে
তার সব
কার্যক্রম দেখা
সম্ভব। একইভাবে
স্বাস্থ্যকর্মীরদের আবার
সুপারভাইজার আছে।
সবমিলিয়ে এখান
থেকে পুরো
৫১টি ইউনিয়নের
সবকিছুর সামগ্রিক
চিত্র আমরা
দেখতে পারি।
প্রাথমিক পর্যায়ে সমস্যা চিহ্নিত করে আপনারা যাদের কাছে
পাঠাচ্ছেন তারা
তো সরকারি হাসপাতালেরই ডাক্তার হবেন।
এ
মূহূর্তে যেসব
ইউনিয়নে আমরা
কাজ করছি
সেখানে সপ্তাহে
দুদিন করে
পিকেএসএফের নিয়োজিত
ডাক্তার বসেন।
তিনি রেফার্ড
রোগীদের সপ্তাহে
দুদিন দেখেন।
এরপর আরো
উন্নত চিকিৎসা
লাগলে তখন
তাকে রেফার
করা হয়
সরকারি হাসপাতাল
কিংবা বেসরকারি
হাসপাতালে। রোগী
যদি মনে
করে সে
সরকারি হাসপাতালে
যাবে, যেতে
পারবে আবার
যদি মনে
করে যে
বেসরকারিতে যাবে,
তাহলে সেখানেও
যেতে পারবে।
এখানে কি
চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
বড়
চ্যালেঞ্জ হলো
স্বাস্থ্য যে
জীবনের একটা
অবিচ্ছেদ্য অংশ
সে বিষয়ে
আমাদের জনগণের
মধ্যে সচেতনতা
সৃষ্টি হয়নি।
এ জায়গায়
আমরা চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হচ্ছি।
আমরা মনে
করি, এ
মডেল নিয়ে
আমরা যদি
সরকারের সঙ্গে
কাজ করতে
পারি এবং
ব্যাপকভাবে মানুষকে
সচেতন করে
তুলতে পারি,
তাহলে আমাদের
লক্ষ্য অর্জন
করা সম্ভব।
আমরা বিশ্বকে
দেখাতে পারব
১০০ টাকা
দিয়ে মানুষের
কম্প্রিহেনসিভ হেলথ
কেয়ার দেয়া
সম্ভব।
শ্রুতলিখন: হুমায়ুন কবির