সময়ের ভাবনা

নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সংজ্ঞায়নের প্রয়োজনীয়তা

বর্তমানে নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে। আমরা এখনো ২০১৩ সালের ইকোনমিক শুমারির উদাহরণ ব্যবহার করি। এর সূত্রে মহিলা বা নারী উদ্যোগ শূন্য দশমিক ৫৬ মিলিয়ন বা মোট আট লাখ উদ্যোক্তার প্রায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সন্দেহাতীতভাবে এ সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। শুধু ই-কমার্সের ক্ষেত্রেই বর্তমানে ব্যাপক হারে নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যদিও স্বল্প পরিসরে, তবে

বর্তমানে নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে। আমরা এখনো ২০১৩ সালের ইকোনমিক শুমারির উদাহরণ ব্যবহার করি। এর সূত্রে মহিলা বা নারী উদ্যোগ শূন্য দশমিক ৫৬ মিলিয়ন বা মোট আট লাখ উদ্যোক্তার প্রায় দশমিক শতাংশ। সন্দেহাতীতভাবে সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে। শুধু -কমার্সের ক্ষেত্রেই বর্তমানে ব্যাপক হারে নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যদিও স্বল্প পরিসরে, তবে সহায়তা পেলে খাত যথাসম্ভব উন্নতি করবে বলে ধারণা করা হয়। প্রসঙ্গে বলতে চাই, বিল্ড সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রায় ১৬টি আঞ্চলিক চেম্বারের সঙ্গে ডায়ালগ করেছে, যেখানে প্রায় ২৭ হাজার (ভার্চুয়ালি ফেসবুকের মাধ্যমে) নারী যোগদান করেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। তারা নিজেদের উদ্যোগ চালিয়ে যেতে চান এবং কিছু নীতিসহায়তা চান।

প্রথমে মনে করা হতো, নারী শুধু হস্তশিল্প, কিছু কুটির এবং ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে খুবই ছোট পরিসরে কাজ করবেন। কিন্তু ধীরে ধীরে সে ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বেশ বড় ধরনের উদোগ নিয়ে নারীরা এগিয়ে এসেছেন। নারী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সরকারি ক্রয়েও অংশগ্রহণ করছেন, যদিও সংখ্যা বেশি তবে তা বাড়ছে। এছাড়া কভিডকালে -কমার্সের জাগরণ সবারই জানা।

পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, শুধু নারী নামধারী ব্যবসাকে নারী দিয়ে পরিচালিত ব্যবসা বলে ধরে নেয়া হতো, প্রকৃতপক্ষে তা সঠিক নয়। একজন পুরুষ উদ্যোক্তা সংগত কারণে তার ব্যবসা বৃদ্ধির প্রয়োজনে তার স্ত্রী বা কন্যার নামে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। হয়তো উদ্যোগ সম্পর্কে নারী সদস্য তেমন কিছু জানেন না বা তার সরাসরি অংশগ্রহণ নেই, তাকে কি নারী উদ্যোক্তা বলা যাবে। বা কোনো নারী অংশীদারত্ব রয়েছে এমন ব্যবসায়কে কি নারী পরিচালিত ব্যবসা বলা য়ায়। অথবা এসব ক্ষেত্রে তার অবদানকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে আমরা এখনো জানি না জিডিপিতে প্রায় ৮০ শতাংশ বেসরকারি খাতের অবদানের মধ্যে কত ভাগ নারী উদ্যোক্তাদের, কারণ কোনো ডিজঅ্যাগ্রিগেটেড ডাটা নেই।

বর্তমানে সরকার নারী উদ্যোগকে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সরকার নানা ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, যার সুযোগ কেবল নারী উদ্যোক্তাই গ্রহণ করতে পারেন। বেশকিছু অর্থায়ন স্কিম রয়েছে নারীদের জন্য। কিন্তু কারা মহিলা বা নারী উদ্যোক্তা। ব্যাংকগুলো তাদের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণ করতে পারে না। কারণ তারা নারী উদ্যোক্তা খুঁজে পায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে কিন্তু তফসিলি ব্যাংকগুলো সঠিক নারী উদ্যোক্তা চিহ্নিত করতে পারে না যে তাদের ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে। বিশ্বের বহু দেশই নারী উদ্যোগের প্রসারে বহু রকমের নীতিমালা গ্রহণ করেছে, কিন্তু কাদের নারী উদ্যোক্তা বলা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা ব্যবহার করছে। এমনকি একই দেশে বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞাও ব্যবহূত হচ্ছে।

মহিলা/নারী মালিকানাধীন বা নারী নেতৃত্বে পরিচালিত ব্যবসাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য সমগ্র বিশ্বে ব্যবহূত সংজ্ঞাগুলোয় যথেষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। ফলে একটি নারী উদ্যোক্তাবান্ধব বাস্তুতন্ত্র তৈরি, লিঙ্গভিত্তিক সামষ্টিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, প্রমাণভিত্তিক নীতিমালা তৈরি, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তৈরি, সেইসঙ্গে অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স অ্যাকসেস টু মার্কেট খাতে একাধিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং নারী উদ্যোগের প্রসারে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার, সুইডিশ ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্গানাইজেশন একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শমূলক চুক্তির (আইডব্লিউএ) মাধ্যমে নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা বা নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার একটা বৈশ্বিক সংজ্ঞায়নের কাজ শুরু করে। এটি নারী উদ্যোক্তারা বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করবে এবং কীভাবে নারীদের ব্যবসাকে সংজ্ঞায়িত করা যায় সে সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী ঐকমত্য তৈরি করতেও সহায়তা করবে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, মহিলা/নারী-মালিকানাধীন এবং নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসা সম্পর্কিত সংজ্ঞাগুলোর ওপর ধারণা স্পষ্ট এবং সর্বজনীনভাবে সম্মত না হওয়ায় জাতীয় বৈশ্বিক উভয় স্তরেই নারীদের উদ্যোগের বিকাশের জন্য প্রতিবন্ধকতা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এগুলো হলো: জাতীয় স্তরে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক নীতিমালা তৈরি আন্তর্জাতিক সক্ষমতা তুলনার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক লিঙ্গভিত্তিক যে সামষ্টিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ প্রয়োজন, সেখানে যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি; নারী উদ্যোক্তা বাস্তুতন্ত্রের পার্থক্যগুলোর সঠিক বিশ্লেষণ করতে না পারা; ব্যবসায় নারী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংজ্ঞায়নের সর্বজনীন সমন্বয়ের অভাব; কিছু দেশ যেমন বাংলাদেশেই নারী-মালিকানাধীন/নেতৃত্বাধীন ব্যবসা-এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫১ শতাংশ নারী মালিকানা নির্দিষ্টকরণের ফলে নারী-মালিকানাধীন বা নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসা অর্থনৈতিক বাজারে প্রবেশ পদচারণা সীমিত হয়ে যায়; ব্যবসায় মালিকানা নির্দিষ্টকরণ (যেমন ন্যূনতম ৫১ শতাংশ) পুরুষ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) বিনিয়োগপ্রাপ্তিতে সীমাবদ্ধতা তৈরি করে এবং সর্বোপরি সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা আইন বাস্তবায়নে বিলম্ব পরিলক্ষিত হয়।

বর্তমান প্রচলিত ৫১ শতাংশ নারী মালিকানা বিষয়টির সীমাবদ্ধতা বিভিন্ন দিক থেকে পরিলক্ষিত হয়। বিশেষত এটি সাংস্কৃতিক বিষয়, সামাজিক সীমাবদ্ধতা, সেই সঙ্গে বাজার এবং অর্থনৈতিক বাজারে প্রবেশ অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

যেমন সাংস্কৃতিকভাবে ভ্যাট-ট্যাক্সজনিত কারণে, স্বামী এবং স্ত্রীর ব্যবসার মালিকানা ৫০:৫০ ভাগ করে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা পরিলক্ষিত হয় যেখানে স্বামী হয়তো তার স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণকারী অংশ দিতে চায় না। এছাড়া পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসার ক্ষেত্রে একজন নারী ব্যবসার উত্তরাধিকারী হতে পারে এবং এটি পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কিন্তু সাংস্কৃতিক কারণে নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারেন না। অন্যদিকে ৫১ শতাংশ মালিকানার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে এমন পর্যাপ্ত নারী মালিকানাধীন সংস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণ নাও থাকতে পারে। ব্যবসায় মালিকানা নির্দিষ্টকরণ (যেমন ন্যূনতম ৫১ শতাংশ) পুরুষ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) বিনিয়োগপ্রাপ্তিতে সীমাবদ্ধতা তৈরি করে।

বাংলাদেশের শিল্পনীতি ২০১৬ অনুসারে, একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত বা গণ্য হবে যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিচালিত ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানের মালিক হন বা জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ফার্মের নিবন্ধকের সঙ্গে তালিকাভুক্ত যৌথ উদ্যোগ বা কোম্পানিতে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক একই সংজ্ঞা গ্রহণ করে, তবে তা কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোগ (সিএসএমই) ঋণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং কুটির শিল্পগুলোকেও সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করে। সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয় শিল্পনীতি ২০২২-এর খসড়া তৈরি করেছে, সেখানেও আগের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

উল্লিখিত অবস্থা পরিস্থিতি বিবেচনায় নারী উদ্যোক্তাদের সর্বজনীন স্বীকৃত একটি সংজ্ঞায়নের লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের She Trades Initiatives এবং সুইডিশ ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যান্ডার্ডসের যৌথ উদ্যোগে নারী মালিকানাধীন বা নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে পরিচালিত ব্যবসার জন্য নারী উদ্যোক্তা- মূল সংজ্ঞা এবং সাধারণ মানদণ্ড বিষয়ে ISO IWA 34:2021-এর মাধ্যমে কাজ করছে। আইডব্লিউএ ৩৪ নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের কর্মসূচি এবং উদ্যোগে ব্যবহারের জন্য স্পষ্ট এবং সর্বজনীনভাবে সম্মত শর্তাবলি এবং কিছু সংজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করেছে, যা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সীমাবদ্ধতাগুলোকে হয়তো কিছুটা হলেও নিরসন করতে পারে।

বাংলাদেশে পুরুষ মালিকানাধীন উদ্যোগের তুলনায় নারী মালিকানাধীন/নেতৃত্বাধীন উদ্যোগগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট, অনানুষ্ঠানিক এবং গৃহভিত্তিক। বিভিন্ন দেশে আডপ্টেশনের জন্য চারটি আইডব্লিউএ সংজ্ঞা প্রস্তাব করা হয়েছে: নারী-মালিকানাধীন ব্যবসা: যে ব্যবসার মালিকানা ৫০ শতাংশের বেশি এক বা একাধিক নারীর; যার পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ এক বা একাধিক নারীর হাতে থাকে; যেখানে একজন নারী ব্যবসার আইনি নথি এবং আর্থিক অ্যাকাউন্টের স্বাক্ষরকারী; যেটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে।

নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসা: যে ব্যবসার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ মালিকানা এক বা একাধিক নারীর; যার পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ এক বা একাধিক নারীর হাতে থাকে; যার পরিচালনা পর্ষদের কমপক্ষে এক-চতুর্থাংশ নারী থাকে; যেখানে একটি বোর্ড বিদ্যমান থাকে, যেখানে একজন নারী ব্যবসার আইনি নথি এবং আর্থিক অ্যাকাউন্টগুলোর স্বাক্ষরকারী; এমন বিষয় যা ব্যবসা হতে স্বাধীনভাবে পরিচালিত যেগুলো না নারী দ্বারা অথবা নারী নেতৃত্বধীন।

নারী-নেতৃত্বাধীন সমবায়: এমন একটি সমবায় যেখানে মোট ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি নারীদের দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নারী; যেখানে বেশির ভাগ নেতৃত্বের পদে নারীরা অধিষ্ঠিত হন।

নারী নেতৃত্বাধীন অনানুষ্ঠানিক উদ্যোগ: একটি অনানুষ্ঠানিক উদ্যোগ যার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এক বা একাধিক নারীর হাতে;

আইডব্লিউএ ৩৪- নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়িক সত্তা সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দিতে পারে, পাশাপাশি বিভিন্ন শর্তাবলি এবং মানদণ্ডের একটি একক রেফারেন্স হিসেবেও কাজ করতে পারে। আইডব্লিউএ ৩৪:২০২১- বর্ণিত সংজ্ঞাগুলো বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন; অন্তর্ভুক্তিমূলক নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির বিকাশ জোরদার করার ক্ষেত্রে, সরকারি বেসরকারি দরপত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং কমপ্লায়েন্স সুবিধার সর্বজনীনকরণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রণোদনা স্কিমগুলোয় পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীদের অংশগ্রহণ সর্বোপরি অর্থনীতি এবং বিভিন্ন ব্যবসায় উদ্যোগে নারীদের অংশগ্রহণের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে তুলনীয় ডাটা সংগ্রহকরণের ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

২০২১ সালের মার্চে আইডব্লিউএ ৩৪ চালু হওয়ার পর থেকে জাম্বিয়া গাম্বিয়া উভয়েই তাদের নিজ নিজ প্রেক্ষাপটে আইডব্লিউএ ৩৪ গ্রহণের জন্য সমর্থন করেছে। বাণিজ্য, শিল্প ব্যবসা মন্ত্রণালয়, জাম্বিয়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি এবং আইটিসি তার নাগরিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কমিশন আইনে লিঙ্গ বিবেচনাকে অন্তর্ভুক্তির জন্য একসঙ্গে কাজ করেছে। একই ভাবে গাম্বিয়া সরকার দেশটির বাণিজ্য, শিল্প, আঞ্চলিক একীকরণ কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং গাম্বিয়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির মাধ্যমে আরো লিঙ্গ প্রতিক্রিয়াশীল পাবলিক প্রকিউরমেন্টকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশা করা যায়, অচিরেই আরো কিছু দেশ ক্রমান্বয়ে এগুলো ব্যবহারে আগ্রহী হবে।

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে সরকার যথেষ্ট সহায়ক, নীতিও প্রণীত হয়েছে। একটি বৈশ্বিক সংজ্ঞা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন ব্যাপারে প্রস্তাব পেতে আগ্রহী, সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা অ্যাসোসিয়েশনগুলো ব্যাপারে এখনই চিন্তা শুরু করতে পারে।

 

ফেরদাউস আরা বেগম: প্রধান নির্বাহী

বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)

আরও