ভোজ্যতেল নিয়ে যারা কারসাজি করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। দৃশ্যমানভাবে কয়েকজনকে শাস্তি দিতে পারলেই অন্যরা বাজার সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য অনিয়ম করতে ভয় পাবে। কিছু অতিলোভী অসাধু ব্যবসায়ী পণ্য মজুদ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি করছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হলেও প্রকৃতপক্ষে সুশাসনের অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতা এর জন্য দায়ী। বিশ্বে দ্রুত ধনী হওয়ার হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। অথচ ধনী লোকদের মধ্যে কর প্রদানের প্রবণতা কম, ফলে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে।
গতকাল সকালে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, আসন্ন রমজানে পুণ্য অর্জনের জন্য দ্রব্যমূল্য কমে আসার কথা। কিন্তু উল্টো কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৌশলের মাধ্যমে রমজানের আগেই বেশি দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। দেশে সম্পদের অভাব নেই। রয়েছে সম্পদের সুষ্ঠু ও ন্যায্য বণ্টনের অভাব। সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য ব্যাপক হারে বাড়ছে।