দেশের সঠিক উন্নয়ন ও কার্যকর নীতি গ্রহণ করতে হলে গবেষণা খাতের দ্রুত উন্নতি করা প্রয়োজন। দেশের গবেষণাখাত এখনো আন্ডার ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে। গবেষণা খাতের উন্নয়ন হলে কার্যকরি নীতি গ্রহণ করতে সহজ হবে। গতকাল ব্রাক সেন্টারে আয়োজিত ‘মহামারী থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ: অভিজ্ঞতা, অর্জন ও নীতি প্রণয়ণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক রেহমান সোবহান এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম, বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসিসি ডায়লগ (সিপিডি)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিডিপি’র বোর্ড অব ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের সামনে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কভিড রিকভারি, এলডিসি উত্তরণ, এসডিজি অর্জন এবং উন্নত আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমান যুব সমাজকে বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারলে কোনো লক্ষ্যই কার্যকর হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থিক সমর্থ হয়েছে। তাই সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি দিতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষার মানের একটা বিষয় সামনে আসছে। এ শিক্ষা কোনো কাজে আসছে কি না সেটি একটি বড় বিষয়। বর্তমানে মেয়েদের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার বেশি। এ করণে বাল্য বিবাহ, এখানে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তার একটা বিষয়।’
সিপিডির ফেলো ড. রওনক জাহান বলেন, ‘কভিডের সময়ে নারীদের ওপর ভায়োলেন্স বাড়লো কেন? সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। এটি কামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।’