এপ্রিলের
২৫
তারিখ
পর্যন্ত
সারা
বিশ্বে
করোনাভাইরাসের
টিকাদান
১০০
কোটি
ডোজ
ছাড়িয়ে
গেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে
টিকাদান
কার্যক্রম
শুরুর
পাঁচ
মাসের
কম
সময়ে
এ
লক্ষ্য
অর্জিত
হয়েছে।
এটি
নিঃসন্দেহে
আশাবাদী
হওয়ার
মতোই
খবর।
একই
সঙ্গে
আরেকটি
তাত্পর্যপূর্ণ
খবর
হলো,
এ
টিকাদানের
অর্ধেকের
বেশি
হয়েছে
মাত্র
তিনটি
দেশে।
দেশ
তিনটি
হলো
যুক্তরাষ্ট্র,
চীন
ও
ভারত;
যারা
হয়তো
বিশ্বে
ধনী
রাষ্ট্র
হিসেবে
পরিচিত
কিংবা
টিকা
উৎপাদনের
সঙ্গে
সরাসরি
জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রে
এখন
পর্যন্ত
২২
কোটির
বেশি
ডোজ
টিকা
দেয়া
হয়েছে,
যা
মোট
জনসংখ্যার
৪২
শতাংশ,
চীনে
২১
কোটি
এবং
ভারতে
১৪
কোটি
মানুষ
এখন
পর্য়ন্ত
করোনাভাইরাসের
টিকা
পেয়েছে।
তালিকায়
এর
পরে
থাকা
দেশগুলোর
দিকে
চোখ
বোলালে
টিকা
রাজনীতিতে
ধনী
দেশগুলোর
একচ্ছত্র
আধিপত্যের
দিকটি
আরো
পরিষ্কার
হবে।
৯০
লাখ
মানুষের
ধনী
দেশ
ইসরায়েলে
প্রায়
৬০
শতাংশ
মানুষ
এরই
মধ্যে
করোনার
টিকা
পেয়েছে,
যাদের
মাথাপিছু
আয়
৪১
হাজার
৯৫০
ডলার।
আর
৭০
হাজার
৪৩০
ডলার
মাথাপিছু
আয়ের
আরব
আমিরাতের
৫১
শতাংশ
মানুষ
এরই
মধ্যে
করোনার
টিকার
প্রথম
ডোজ
পেয়েছে।
তবে
ভারতে
১৪
কোটি
মানুষ
করোনার টিকা
পেলেও
১৩০
কোটি
জনসংখ্যার
দেশে
এ
সংখ্যা
বেশি
নয়।
আর
সে
কারণে
দেশটি
করোনার
নতুন
নতুন
ধরন
মোকাবেলায়
হিমশিম
খাচ্ছে।
টিকার অন্যায্য বণ্টন: আরো
কিছু তথ্য
জাতিসংঘ
তহবিলের
(ইউএনএইডস) এক
প্রতিবেদনে
উঠে
এসেছে,
যেখানে
ধনী
দেশগুলোয়
প্রতি
সেকেন্ডে
একজন
মানুষ
করোনার
টিকা
পাচ্ছে,
সেখানে
অসংখ্য
দরিদ্র
দেশে
এখনো
কোনো
টিকাই
পৌঁছেনি।
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থার
মতে,
বিশ্বে
উৎপাদিত
মোট
টিকার
৮৭
শতাংশ
চলে
গেছে
উন্নত
দেশগুলোয়
আর
নিম্ন
আয়ের
দেশগুলো
পেয়েছে
শূন্য
দশমিক
২
শতাংশ।
এরই
মধ্যে
উন্নত
দেশগুলোয়
গড়ে
প্রতি
চারজনে
একজন
করোনার
টিকা
পেলেও
নিম্ন
আয়ের
দেশে
এ
হার
প্রতি
৫০০
জনে
একজন।
কয়েকটি
দরিদ্র
দেশের
মানুষের
করোনার
টিকা
পাওয়ার
হার
বা
সংখ্যা
দেখে
নেয়া
যাক।
ক্যামেরুনের
মাত্র
৪০০
মানুষ
করোনার
টিকা
পেয়েছে।
দক্ষিণ
সুদানের
৯৪৭
জন,
যুদ্ধবিধ্বস্ত
সিরিয়ার
মাত্র
আড়াই
হাজার
মানুষ
টিকা
পেয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত
আরেক
দেশ
লিবিয়ায়
এ
সংখ্যা
মাত্র
৭৫০,
যা
ওপরের
দেশগুলোর
জনসংখ্যার
শূন্য
দশমিক
১
শতাংশেরও
কম।
আর
জাতিসংঘ
জানিয়েছে,
বিশ্বের
১০০টির
বেশি
দেশে
এখনো
করোনার
টিকা
পৌঁছেনি।
টিকার হালহকিকত
টিকা
উদ্ভাবনেও
নেতৃত্ব
দিচ্ছে
ধনী
দেশগুলো।
টিকা
তৈরিতে
এগিয়ে
থাকা
তিনটি
বড়
প্রতিষ্ঠান
হচ্ছে
ফাইজার-বায়োএনটেক,
মডার্না
ও
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
নতুন
আরো
দুটি
টিকা
বাজারে
আসার
পথে।
সেগুলো
হলো
নোভাভ্যাক্স
ও
জনসন।
যুক্তরাজ্যে
বৃহৎ
পরিসরে
নোভাভ্যাক্সের
টিকার
পরীক্ষা
চালানো
হয়।
এ
পরীক্ষার
ফলাফলে
দেখা
গেছে,
করোনার
সংক্রমণ
ঠেকাতে
নোভাভ্যাক্সের
টিকা
৮৯
দশমিক
৩
শতাংশ
কার্যকর।
জনসন
জানিয়েছে,
গুরুতর
পর্যায়ের
কভিড-১৯
রোগীর
ক্ষেত্রে
তাদের
টিকা
৮৫
শতাংশ
কার্যকর।
উপরের
সবগুলোই
যুক্তরাষ্ট্রের
এবং
যুক্তরাজ্যের
টিকা।
চীন
তৈরি
করেছে
সিনোভ্যাক,
ক্যানসিনো
ও
সিনোফার্ম
নামের
টিকা।
এশিয়ার
বিভিন্ন
দেশ
ও
দক্ষিণ
আমেরিকার
অনেক
দেশে
সেই
টিকা
পৌঁছে
গেছে।
রাশিয়ার
তৈরি
স্পুটনিক-ভি
৯১
দশমিক
৬
শতাংশ
কার্যকর
বলে
দাবি
করা
হয়েছে।
এটির
প্রয়োগও
হচ্ছে।
প্রাথমিক
পর্যায়ে
পরীক্ষার
অপেক্ষায়
আছে
১৭১টি
টিকা,
স্বল্প
পরিসরে
পরীক্ষার
পর্যায়ে
আছে
১৯টি,
বিস্তৃত
পরিসরে
পরীক্ষার
পর্যায়ে
আছে
২৫টি
এবং
ব্যাপক
আকারে
পরীক্ষার
পর
কার্যকারিতা
মূল্যায়নের
পর্যায়ে
রয়েছে
আরো
২১টি
টিকা।
বাংলাদেশে করোনার টিকা
করোনার
টিকা
পাওয়ার
লড়াইয়ে
বাংলাদেশ
অপেক্ষাকৃত
ভালো
করেছে।
মোট
১
কোটি
৩
লাখ
টিকা
বাংলাদেশ
হাতে
পেয়েছে,
এর
মধ্যে
প্রথম
ডোজ
নিয়েছে
৫৮
লাখের
বেশি
মানুষ,
আর
দ্বিতীয়
ডোজ
নিয়েছে
৩০
লাখের
কিছু
বেশি।
তবে
টিকা
সরবরাহ
বন্ধ
হয়ে
যাওয়ায়
বাংলাদেশ
এর
মধ্যে
টিকার
নতুন
নিবন্ধন
বন্ধ
করে
দিয়েছে।
প্রতিশ্রুতি
অনুয়ায়ী
টিকা
পাঠাতে
পারবে
না
জানিয়ে
চিঠি
দিয়েছে
সেরাম
ইনস্টিটিউট।
ফলে
টিকা
কার্যক্রম
ব্যাহত
হলে
বাংলাদেশেও
কভিডের
সংক্রমণ
নিয়ন্ত্রণের
বাইরে
যাওয়ার
শঙ্কা
বাড়ছে।
বাংলাদেশে টিকার
সংকট কেন
হলো?
বাংলাদেশ
শুরু
থেকে
করোনার
টিকা
পাওয়ার
ব্যাপারে
আগ্রহ
দেখিয়েছে।
তবে
বাংলাদেশ
শুধু
ভারতের
সেরাম
ইনস্টিটিউটের
উৎপাদিত
টিকার
ওপর
এককভাবে
নির্ভর
করেছে।
যদিও
যুক্তরাজ্যের
অক্সফোর্ডের
আবিষ্কার
করা
টিকা
ভারতের
সেরাম
ইনস্টিটিউট
উৎপাদন
করছে।
ভারতে
করোনার
ব্যাপক
প্রাদুর্ভাবের
কারণে
দেশটির
সরকার
করোনার
টিকা
রফতানির
ওপর
নিষেধাজ্ঞা
দিয়েছে।
ফলে
বাংলাদেশের
টিকা
পাওয়া
অনিশ্চিত
হয়ে
পড়েছে।
টিকার আর
কোনো বিকল্প উৎস ছিল
না?
গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্ন
হলো,
সেরাম
ইনস্টিটিউট
ছাড়া
টিকা
পাওয়ার
আর
কোনো
উৎস
বাংলাদেশের
ছিল
কিনা!
সরাসরি
উত্তর
হলো,
ছিল।
শুরুতেই
বাংলাদেশ
সেই
সম্ভাবনার
ট্রেন
মিস
করেছে।
চীনের
টিকার
ট্রায়াল
বাংলাদেশেও
হওয়ার
কথা
হচ্ছিল।
চীনই
আগ্রহ
দেখিয়েছিল।
কোনো
এক
অজানা
কারণে
সেই
ট্রায়াল
হয়নি।
রাশিয়ার
উৎপাদিত
স্পুটনিক
টিকাও
বাংলাদেশে
আনার
সুযোগ
ছিল।
কিন্তু
বাংলাদেশে
সেই
সুযোগ
কিছুটা
হলেও
নষ্ট
হয়েছে।
তবে
দেরিতে
হলেও
বাংলাদেশ
ভুল
বুঝতে
পেরেছে।
২৫
এপ্রিল
ঢাকার
পত্রিকাগুলো
খবর
দিয়েছে,
বাংলাদেশ
এরই
মধ্যে
রাশিয়ার
টিকা
প্রযুক্তি
ব্যবহার
করে
নিজেদের
দেশে
টিকা
উৎপাদনের
কথা
ভাবছে।
সে-বিষয়ক
একটি
চুক্তিও
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর
এরই
মধ্যে
স্বাক্ষর
করে
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে
পাঠিয়েছে।
চীনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ
সফর
করছেন,
যেখানে
দেশটির
টিকা
নিয়ে
আলোচনা
হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেছেন,
চীনের
টিকা
দ্রুতই
আসছে।
অক্সিজেনও কি
টিকার পথে?
এপ্রিলের
শুরুর
দিকে
করোনার
প্রকোপ
বেড়ে
যাওয়ায়
দেশের
হাসপাতালগুলোয়
২০০
থেকে
২২০
টন
পর্যন্ত
অক্সিজেন
সরবরাহ
করা
হতো।
এর
মধ্যে
একটি
অংশ
আমদানি
করা
হতো
প্রতিবেশী
দেশ
ভারত
থেকে।
বাকিটা
উৎপাদন
হতো
দেশে।
গোটা
ভারতে
করোনায়
রেকর্ড
সংক্রমণের
কারণে
হাসপাতালগুলোয়
অক্সিজেনের
জন্য
হাহাকার
পড়ে
গেছে।
স্বাভাবিকভাবেই
গত
২২
এপ্রিল
থেকে
বাংলাদেশে
অক্সিজেন
সরবরাহ
বন্ধ
করে
দিয়েছে
ভারত।
এর
মধ্যে
বাংলাদেশে
করোনার
সংক্রমণও
কিছুটা
কমে
এসেছে।
ফলে
নিজ
দেশের
উৎপাদিত
অক্সিজেনেই
প্রয়োজন
মিটছে।
তবে
চাহিদা
বাড়লে
পরিস্থিতি
সামাল
দিতে
সমস্যা
হবে।
এছাড়া
মোট
অক্সিজেন
সরবরাহ
আসে
তিনটি
প্রতিষ্ঠান
থেকে।
এর
মধ্যে
লিন্ডা
ও
স্পেক্ট্রা
শুধু
সরকারি
হাসপাতালে
অক্সিজেন
সরবরাহ
দেয়,
আর
ইসলাম
অক্সিজেন
দেয়
বেসরকারি
হাসপাতালে।
এর
মধ্যে
কোনো
একটির
উৎপাদনে
ব্যাঘাত
ঘটলে
বাংলাদেশ
অক্সিজেন
ঘাটতিতে
পড়বে।
ফলে
টিকার
মতো
অক্সিজেনেও
কোনো
দেশের
ওপর
একক
নির্ভর
না
করে
বাংলাদেশের
উচিত
দ্রুত
বিকল্প
জোগানদাতার
সন্ধান
করা।
চীন,
রাশিয়ার
পাশাপাশি
অন্য
মিত্র
দেশগুলোর
সঙ্গে
যোগাযোগ
বাড়াতে
হবে।
তবে
সেটা
হওয়া
উচিত
দ্রুত
সময়ের
মধ্যে।
কেননা
সামনে
ঈদকে
কেন্দ্র
করে
সারা
দেশে
মানুষের
চলাচল
বাড়বে,
ফলে
নতুন
সংক্রমণের
মুখে
পড়তে
পারে
বাংলাদেশ।
টিকা গ্রহণে অনীহা ও
ঘরোয়া রাজনীতি
৭ ফেব্রুয়ারি
থেকে
বাংলাদেশে
করোনার
টিকা
প্রদান
কর্মসূচি
পূর্ণোদ্যমে
শুরু
হলেও
শুরুতে
নিবন্ধনের
সংখ্যা
ছিল
বেশ
কম,
যদিও
সময়ের
সঙ্গে
সঙ্গে
করোনার
টিকা
নেয়ার
প্রতি
আগ্রহ
বেড়েছে।
৭২
লাখ
৪৮
হাজার
৮২৮
জন
করোনার
টিকার
জন্য
নিবন্ধন
করেছে।
শুরুতে
করোনার
টিকা
গ্রহণের
প্রতি
অনাগ্রহের
প্রধান
কারণ
ছিল
টিকা
বিষয়ে
নানা
ধরনের
নেতিবাচক
প্রচার।
সেই
প্রচারে
রাজনৈতিক
দল
থেকে
শুরু
করে
সাধারণ
মানুষ
যুক্ত
হয়েছে।
এও
বলা
হয়েছে
যে
টিকা
পাবেন
শুধু
ক্ষমতাসীন
দলের
রাজনৈতিক
নেতারা।
এ
লক্ষ্যে
সারা
দেশে
বেছে
বেছে
তালিকা
করার
গুজবও
ছড়ানো
হয়েছে।
টিকা
হালাল
কি
হারাম—এ
রকম
ধর্মীয়
অনুভূতিও
কাজে
লাগানোর
প্রবণতা
দেখা
গেছে।
এর
সঙ্গে
টিকার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়
বিশ্বের
নানা
দেশে
কিছু
মানুষ
অসুস্থ
হওয়া
ও
মারা
যাওয়াও
এসব
অপপ্রচারে
ইন্ধন
জুগিয়েছে।
তবে
বাংলাদেশ
এসব
গুজব
বেশ
ভালোভাবে
সামলে
উঠেছে।
টিকার
সরকারদলীয়
রাজনীতিকীকরণ
হয়নি;
বরং
শুরু
থেকেই
সবার
জন্য
টিকা
ছিল
উন্মুক্ত।
টিকা
গ্রহণে
প্রধানমন্ত্রী
ও
তার
পরিবারের
সদস্যদের
এগিয়ে
আসা
বেশ
কাজে
দিয়েছে।
তবুও
কম
শিক্ষিত,
দরিদ্র
মানুষের
মধ্যে
টিকা
ভীতি
রয়ে
গেছে।
অনলাইনে
নিবন্ধনও
দরিদ্র,
নিরক্ষর
মানুষের
টিকা
গ্রহণে
বাধা
হিসেবে
কাজ
করছে।
ভীতি
কাটানো
ও
টিকা
নিবন্ধন
সহজ
করার
ক্ষেত্রে
সরকারি,
বেসরকারি
ও
স্বেচ্ছাসেবক
প্রতিষ্ঠানের
কাজ
করার
সুযোগ
রয়েছে।
টিকা রাজনীতি ও ভূরাজনৈতিক হিসাব
ধনী-গরিবের
বৈষম্য
ছাড়াও
ভূরাজনৈতিক
হিসাবনিকাশও
টিকা
প্রাপ্তি
ও
সরবরাহের
ক্ষেত্রে
বড়
ভূমিকা
রাখছে।
ভারত,
রাশিয়া,
চীন
ও
যুক্তরাষ্ট্র
টিকা
দিয়ে
নিজেদের
শক্তি
প্রদর্শন
করছে।
ভারত
এরই
মধ্যে
টিকা
রফতানি
বন্ধের
ঘোষণা
দিয়েছে,
যার
মূলে
রয়েছে
কাঁচামালের
সংকট।
সেরাম
ইনস্টিটিউট
তাদের
টিকায়
ব্যবহূত
কাঁচামাল
আমদানি
করে
যুক্তরাষ্ট্র
থেকে।
এর
মধ্যে
যুক্তরাষ্ট্র
জানিয়েছে,
তারা
নিজেদের
চাহিদা
মিটিয়ে
তারপর
কাঁচামাল
রফতানি
করবে।
ক্ষমতায়
যে-ই
থাকুক,
যুক্তরাষ্ট্রের
কাছে
জাতীয়তাবাদ
যে
সবার
আগে,
সেটা
কে
না
জানে!
এখানে
উদ্দেশ্য
খুবই
পরিষ্কার।
আগে
নিজেদের
জন্য
মজুদ,
তারপর
তারাই
ঠিক
করে
দেবে
কে
টিকা
পাবে
আর
কে
পাবে
না।
ভারত
তার
প্রতিবেশী
দেশগুলোয়
টিকা
উপহার
পাঠাচ্ছে।
এরই
মধ্যে
মিয়ানমার,
নেপাল,
শ্রীলংকা,
আফগানিস্তান
ও
মালদ্বীপে
উপহার
পৌঁছে
গেছে।
বাংলাদেশ
সফরের
সময়
নিজে
বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীর
হাতে
উপহার
হিসেবে
টিকা
তুলে
দিয়েছেন।
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না,
সেই
তালিকায়
পাকিস্তান
নেই।
পাকিস্তানের
টিকা
এসেছে
তাদের
দীর্ঘদিনের
মিত্র
চীন
থেকে।
সেখানে
১৩
লাখ
মানুষ
এরই
মধ্যে
দুই
ডোজ
টিকা
পেয়েছে।
জাতিসংঘের কি
কিছু করার
নেই?
করোনার
টিকা
আবিষ্কার,
উৎপাদন
ও
বণ্টন
মাত্র
কয়েকটি
দেশ
ও
তাদের
ঠিক
করে
দেয়া
ওষুধ
কোম্পানির
হাতে
দৃশ্যত
করোনার
টিকা
বিতরণে
ন্যায্যতার
আহ্বান
জানিয়ে
বিবৃতি
দেয়া
ছাড়া
জাতিসংঘের
আর
কোনো
উদ্যোগ
চোখে
পড়েনি।
গত
ফেব্রুয়ারিতে
জাতিসংঘের
সিকিউরিটি
কাউন্সিলের
শীর্ষ
পর্যায়ের
এক
বৈঠকে
মহাসচিব
এন্তোনিও
গুতেরেস
টিকা
বণ্টনের
বর্তমান
অবস্থাকে
‘বন্যভাবে অসম
এবং
অনৈতিক’
বলে
আখ্যা
দিয়েছেন।
এ
মহামারীকালে
টিকার
সমতা
যে
সবচেয়ে
বড়
পরীক্ষা,
সেটাও
তার
বক্তব্যে
উঠে
আসে।
এজন্য
দরিদ্র
দেশগুলোতে
টিকা
সরবরাহ
বাড়ানোর
ওপর
জোর
দিয়েছিলেন
তিনি।
একদিকে
সারা
দুনিয়া
করোনাভাইরাসের
অতিমারীতে
দিশেহারা
হলেও
সেই
ভাইরাস
ঠেকানোর
জন্য
উদ্ভাবিত
টিকা
নিয়ে
রাজনীতিও
চলছে
দেদার।
একদিকে
কারা
আগে
টিকা
বাজারজাত
করবে
কিংবা
কত
বেশিসংখ্যক
টিকা
বিক্রি
করে
মুনাফা
করার
প্রতিযোগিতা
চলছে,
অন্যদিকে
টিকা
উপহার
কিংবা
নিজেদের
পছন্দের
দেশে
টিকা
বিক্রির
মাধ্যমে
আধিপত্য
বিস্তারের
চেষ্টাও
লক্ষণীয়।
এখন
দেখতে
হবে
এ
বাণিজ্য
কোথায়
গিয়ে
শেষ
হয়
এবং
কারা
সবচেয়ে
বেশি
লাভবান
হয়।
যদিও
লক্ষ্য
হওয়ার
কথা
ছিল
ধনী-দরিদ্র
নির্বিশেষে
সবার
জন্য
টিকা
নিশ্চিত
করা।
কেননা
করোনাভাইরাস
এক
প্রাণঘাতী
ছোঁয়াচে
মহামারী
যতক্ষণ
একজন
মানুষ
অরক্ষিত
থাকবে
ততক্ষণ
কেউই
সুরক্ষিত
নয়।
রাজু নূরুল: উন্নয়নকর্মী