দেশের উন্নয়নে করের ওপর নির্ভরতা না বাড়িয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবৈধ অর্থ পাচার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে অধিকারভিত্তিক নাগরিক সমাজ। গতকাল ইকুইটিবিডি আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে অবৈধ অর্থ পাচার রোধকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন ইকুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ট্রাস্টের আহসানুল করিম। অন্যদের মধ্যে এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইকুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক ও ফেরদৌস আরা রুমী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশের আমানুর রহমান এবং সিএসআরএলের প্রদীপ কুমার রায়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে মো. আহসানুল করিম বলেন, সরকার অবৈধ অর্থ পাচার বন্ধ করাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, যেখান থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব এবং ব্যাংকঋণ ও পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা যায়। অর্থ পাচার রোধ করা গেলে উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব হিসেবে সরকার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার আয় করতে পারত।
অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি আর অবৈধ অর্থ পাচার বন্ধে সরকারের উদ্যোগ তেমন একটা চোখে পড়ছে না। সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রকৌশলীসহ রাষ্ট্রের সব খাতেই পুঁজিবাদের একটি দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে।
আমানুর রহমান বলেন, ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে সরকারের প্রচুর আইন-কানুন আছে, কিন্তু সেগুলো ধনীদের ওপর খুব কমই প্রয়োগ করা হয়। তিনি ই-কমার্সে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ অনুমোদন দেয়ার সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।
সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, শেয়ারবাজারে বা সম্পত্তি ক্রয়ে (জমি/ফ্ল্যাট) কালো টাকা বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া উচিত হবে না।