করোনার ভ্যাকসিন

বয়স্কদের ডিপ্রেশনে ভোগার শঙ্কা

কভিড ভ্যাকসিন নেয়ার পরপর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সেগুলো অতটা গুরুতর না।

কভিড ভ্যাকসিন নেয়ার পরপর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সেগুলো অতটা গুরুতর না। যেমন যে জায়গায় ভ্যাকসিন দেয়া হয় সেই জায়গা লাল হয়ে থাকা বা ফোলা ভাব, জ্বর আসা, গা ব্যথা, ক্লান্তি ভাব, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের লক্ষণগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ভ্যাকসিন নেয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায়।

কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তবে সেই সংখ্যা অত্যন্ত কম। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিনের কারণে যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তার মধ্যে প্রধান হলো মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হওয়া। অর্থাৎ ডিপ্রেশনে ভোগা। বয়স্কদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া একটু বেশি দেখা যায়। তবে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতায় কোনো প্রভাব পড়বে না।

সম্প্রতি কভিড ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। কভিড আক্রান্তদের একটি বড় অংশ মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত থাকে। বয়স্ক মানুষের মধ্যে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি দেখা গেছে। করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরও অনেক রোগী দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক উদ্বেগ, বিষণ্নতায় ভুগেছে। অনেকেই কাজে মনোযোগ দিতে পারছে না। ছোটখাটো বিষয় ভুলে যাচ্ছে, ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি কভিড ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হতে পারে। তবে মানসিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি, যাতে এটি প্রকট রূপ ধারণ না করে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যার কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়।

সূত্র: ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন

আরও