একজিমা দূরে রাখার উপায়

‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ হলো একজিমার সবচেয়ে সাধারণ ধরন। এতে ত্বকে রঙের তারতম্য, জ্বালা ও চুলকানি দেখা দেয়।

‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ হলো একজিমার সবচেয়ে সাধারণ ধরন। এতে ত্বকে রঙের তারতম্য, জ্বালা ও চুলকানি দেখা দেয়। এ রোগ হলে ত্বকে পুরু স্তর পড়তে পারে এবং সময়ের সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’, যা দীর্ঘমেয়াদি একজিমার সমস্যা বোঝায়। ফলে কনুইয়ের ভেতর দিকে, হাঁটুর ভাঁজে, ঘাড়ে ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে শুষ্কতা, চুলকানি ও জ্বালা ভাব দেখা দেয়। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনে অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসকরা।

যেসব বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে

কড়া সাবান বা পরিষ্কারক ময়লা ভালোমতো দূর করলেও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই এগুলোর পরিবর্তে মৃদু পণ্য ব্যবহার করলে যেমন সুগন্ধিহীন সাবান ও পরিষ্কারক ত্বকের অস্বস্তি এড়ানো যায়।

দীর্ঘক্ষণ গরম পানিতে গোসল এড়াতে হবে। এর পরিবর্তে অল্প সময়ে ঠাণ্ডা বা সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে গোসল করতে হবে। ১০ মিনিট গোসলের জন্য যথেষ্ট। ফলে ত্বকের অস্বস্তি থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

যাদের একজিমার সমস্যা আছে তাদের সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। গোসলের পর পরই পুরো শরীরে ময়েশ্চারইজার মাখতে হবে। পাশাপাশি ত্বকে শুষ্ক অনুভব করা মাত্র ঘন ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। আর ত্বকে আরামদায়ক অনুভূতির জন্য বেছে নিতে হবে সুগন্ধিমুক্ত, ‘হাইপোঅ্যালার্জেনিক’ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার।

কিছু বিষয় আছে, যা একজিমার মতো সমস্যাগুলো বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন মানসিক চাপ, গরম, কোনো নির্দিষ্ট কাপড় যেমন তুলা বা সিল্ক, সুগন্ধি সাবান বা কাপড় ধোয়ার পরিষ্কারক ইত্যাদি। এসব জিনিস যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। চিহ্নিত করতে পারলে এড়ানো সম্ভব হবে আর পরিবর্তে কোন পণ্য ব্যবহার করলে সুবিধা হয় সেটা বাছাই করা সম্ভব হবে।

কিছু থেরাপির মাধ্যমে ত্বকের প্রদাহ কমানো যায়। যেমন লাইট থেরাপি। এটি ফটোথেরাপি নামেও পরিচিত। এ পদ্ধতিতে ‘ইউভি’ আলোর ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের প্রদাহ কমানো হয়। হয়তো এজন্য কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। এজন্য নিতে হবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য।

এছাড়া সঠিক ওষুধ খুঁজে বের করতে হবে। একেকজনের একেক ধরনের ওষুধ কাজে দেয়। চিকিৎসক রোগীর সার্বিক ইতিহাস জেনে কোন ধরনের ওষুধ দেবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বর্তমানে অতিমাত্রায় একজিমা থেকে মুক্তি পাওয়ার তেমন কোনো পদ্ধতি নেই। তবে উপরোক্ত বিষয়গুলো বা নিয়মকানুন পালন করলে একজিমার কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কিছুটা কমানো যায়।

আরও