স্কোলিওসিস শনাক্ত করার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অপরিহার্য। বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি থাকে। সঠিক সময়ে মেরুদণ্ডের যেকোনো পরিবর্তন শনাক্ত এবং চিকিৎসা কার্যকর কিনা তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
ব্যায়াম ও থেরাপি
ব্যায়াম ও থেরাপি স্কোলিওসিসের লক্ষণগুলো কমাতে এবং মেরুদণ্ডের ক্ষতি হওয়া থেকে রোধ করতে পারে। স্কোলিওসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। যেমন—
- মেরুদণ্ড দ্রুত বাঁক নেয়, এমন কিছু করা যাবে না। যেমন জিমন্যাস্টিকস বা রেসলিং জড়িত খেলা বা কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা।
- দৌড়ানো বা লাফ দেয়ার মতো ক্রিয়াকলাপ, যা মেরুদণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অস্বস্তি বা ব্যথার কারণ হতে পারে।
- ভারী জিনিস তোলা বা বহন করা, কারণ এটি পিঠে অযথা চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং মেরুদণ্ডের বক্রতাকে আরো খারাপ করতে পারে।
মেরুদণ্ডের বাঁকের অবনতি রোধে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মেরুদণ্ডের পুরোটায় যেন সমান ওজন বজায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলোয় চাপ কমাতে সাহায্য করতে হবে। স্কোলিওসিস বা স্কোলিওসিসের উপসর্গ আছে, এমন ব্যক্তিদের হিল বা জুতা পরা থেকে বিরত থাকা উচিত। হিল জুতা পরার কারণে ওজনের অসম বণ্টন হয়। এতে মেরুদণ্ডে চাপ বাড়ে। পিঠ, ঘাড় ও নিতম্বে ব্যথাও বাড়ে।
দীর্ঘ সময় ধরে একই স্থানে বসা বা দাঁড়ানো এড়াতে হবে। এতে পিঠে অস্বস্তি আরো বাড়বে।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা, স্কোলিওসিসের আরো গুরুতর হওয়া রোধে সাহায্য করতে পারে। যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা ও ধূমপান এড়ানো সবই মেরুদণ্ড সুস্থ ও সবল রাখতে অবদান রাখতে পারে।
স্কোলিওসিস কী, এর কারণ, উপসর্গ ও চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো জানা থাকা জরুরি। সঠিক ধারণা থাকলে এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিতে সাহায্য করবে। এটি পুরোপুরি নির্মূল হওয়া কঠিন হলেও স্কোলিওসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক যত্ন ও সহায়তার মাধ্যমে পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে।