শিশুরা সাধারণত নিজের ক্ষেত্রে এ রোগ ধরতে পারে না। শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগ প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন তার পিতা-মাতা। পরিবারের কারো চোখে পড়ে যে মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গেছে। দিন দিন এ বাঁকাটা আরো বাড়ছে।
মেরুদণ্ডের বাঁকা রোগ অনেক সময় নবজাতকের ক্ষেত্রেও হয়। এটি খুব জটিল ধরনের হয়। দেখলেই বোঝা যায়। কিছু বাহ্যিক লক্ষণ থাকে। এক পাশের কাঁধটা উঁচু হয়ে থাকে, এক পাশে নিচে থাকে। পিঠের একটি অংশ উঁচু হয়ে থাকে। আর যারা একটু দাঁড়াতে পারে তাদের ক্ষেত্রে দাঁড়ানোর সময় দেখা যায়, একটু কাত হয়ে আছে। এটি দেখলেই মোটামুটি বোঝা যায়।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে শিশুদের ক্ষেত্রে স্কোলিওসিস প্রতিরোধ করা যায়। এজন্য প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর দিকে নজরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে অভিভাবককে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সন্তান যদি পিঠে কোনো সমস্যা হচ্ছে—এ ধরনের অভিযোগ করে তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
৮৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগের কারণ জানা যায় না। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কারণগুলোর কারণে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে—
জেনেটিক কারণ
সেরিব্রাল পালসি
পুষ্টির অভাব
অতীতের কোনো আঘাত
সংক্রমণ
টিউমার
ভিন্ন পায়ের দৈর্ঘ্য
তবে এসব কারণের বিপরীতে কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। তবে শিশুর স্কোলিওসিস ধরা পড়লে, সঠিক ও সময়মতো চিকিৎসা করালে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক বা প্রবীণদের ক্ষেত্রে সাধারণত ক্ষয় থেকে হয়। এক পাশে ক্ষয়টা বেশি হচ্ছে, অন্য পাশে ওজন বেশি হচ্ছে। মেরুদণ্ডটা ধীরে ধীরে বাঁকা হচ্ছে। এগুলোই সাধারণত কারণ থাকে।