প্রাথমিক মেরুদণ্ডের টিউমার তুলনামূলকভাবে বিরল। এর পেছনের কারণগুলো মূলত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, টিউমারগুলো সম্ভবত জেনেটিক্স, পরিবেশগত এক্সপোজার, জীবনাচরণ এবং অন্যান্য অজানা আরো কিছু কারণের জটিল পারস্পরিক ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়। সাধারণভাবে এ প্রক্রিয়ার কারণে কোষীয় ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং মেরুদণ্ডে স্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে বাতাগ্রস্ত করে, যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত কোষ প্রজনন এবং টিউমার বিকাশ ঘটে।
সেকেন্ডারি মেরুদণ্ডের টিউমার ক্যান্সার মেটাস্ট্যাসিসের কারণে হয়। যা তখন ঘটে যখন ক্যান্সার কোষগুলো শরীরের অন্য অংশে প্রাথমিক টিউমার থেকে আলাদা হয়ে যায়। কোষগুলো তখন রক্তপ্রবাহে বা লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে প্রবেশ করে, সারা শরীরে সঞ্চালিত হয় এবং মেরুদণ্ডে একটি নতুন টিউমার তৈরি হয়।
মেরুদণ্ডের টিউমার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার জেনেটিক নেচারের কারণে হয়। তাই এ ধরনের টিউমার নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই অসম্ভব। তবে টিউমার থেকে যাতে ক্যান্সারের দিকে তা প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অথবা টিউমারটি যাতে সেকেন্ডারি পর্যায়ে না যায়।
এর মধ্যে রয়েছে:
ইতিবাচক জীবনধারা বেছে নেয়া
নিয়মানুগ জীবন যাপন করা, নিয়ন্ত্রিত ওজন বজায় রাখা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং তামাক এড়িয়ে চলা। এসবের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায় এবং কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি।
ক্ষতিকারক পদার্থের সংস্পর্শে না আসা
অপ্রয়োজনীয় রেডিয়েশন আছে এমন চিকিৎসা এড়িয়ে চলা। পেশাগত পরিবেশে যদি ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য থাকে তাহলে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যাতে তা মেরুদণ্ডের টিউমারের ঝুঁকি না বাড়ায়।
নিয়মিত একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন থাকা
নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ এবং স্ক্রিনিং অস্বাভাবিক পরিবর্তন এবং চিকিৎসাগত অবস্থা শনাক্ত করতে সাহায্য করে। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় মেরুদণ্ডের টিউমার ধরা পড়লে তা অনেক ক্ষেত্রে নিরাময়যোগ্য।
ঝুঁকির কারণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা
যারা বংশগতভাবে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তাদের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা জরুরি। তাহলে টিউমার থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা কমানো যায়।