ব্যথা কমানোর জন্য মূলত অনেকগুলো পদ্ধতির সাহায্য নেয়া যায়। ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ব্যবস্থা কাজে লাগে। শারীরিক পুনর্বাসন, মনস্তাত্ত্বিক চাপ কমাতে থেরাপি, জীবনধারা পরিবর্তন ইত্যাদি সবকিছু এ ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এসব চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো রোগীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্তরে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
এ রোগে আক্রান্ত হলে অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যেমন অ্যাসিটামিনোফেন, এনএসএআইডি যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন ও নেপ্রোক্সেন। অ্যান্টিডিপ্রেশেন্টস: ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেশেন্টস, এসএনআরআই। এ ধরনের ওষুধ নিউরোপ্যাথিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিকনভালসেন্টস: গ্যাবাপেন্টিন, প্রিগাবালিন। স্নায়ুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ওপিওডস: অক্সিকন্টিন, হাইড্রোকডোন, মরফিন। এগুলো মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথার জন্য ব্যবহার করা হয়। পেশি শিথিল করে এবং উদ্বেগ-উত্তেজনা কমায় এমন ওষুধও দেন চিকিৎসকরা।
মনস্তাত্ত্বিক থেরাপিও কাজে দেয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম করা বা ধ্যান করা। এছাড়া এমন কিছু থেরাপি আছে যা ব্যথা সম্পর্কে রোগীর চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনে। এছাড়া একই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত মানুষজনের সঙ্গে চলাফেরা মেন্টালি সাপোর্ট দেয়।
জীবনধারা পরিবর্তন: সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুমানো, নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতাকে উন্নত করে। ওজন কমাতে হবে; কারণ অতিরিক্ত ওজনের কারণে জয়েন্ট, স্নায়ু ও ডিস্কে চাপ পড়ে। এতে ব্যথা বাড়ে। এ রোগে আক্রান্তদের ধূমপান ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব এবং কাজের সময় কমিয়ে আনাও জরুরি।
অনেক ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। এটি পিঠে ব্যথা এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের জন্য সহায়ক। রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবলেশন নির্দিষ্ট স্নায়ু থেকে ব্যথা কমাতে তাপ ব্যবহার করে। একেবারে শেষ অবলম্বন হলো অস্ত্রোপচার।