শীতে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়। এসব থেকে বাঁচতে খাবারের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। গরমে যেমন বিশেষ কিছু খাবার খেতে হয়, শীতেও তেমনি বিশেষ খাবার খাওয়া প্রয়োজন
পর্যাপ্ত পানি পান: পানির কোনো বিকল্প নেই। শীতে সাধারণত পিপাসা কম পায়। তাই পানি পানও কমিয়ে দিই আমরা। কিন্তু পানি পান কমানো যাবে না। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি পান করা ভালো।
বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে: শীত মূলত শাকসবজির মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়ও শাকসবজি থাকা প্রয়োজন। ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমোটো, গাজর রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এগুলো শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ কোনো অসুস্থতার কারণে কোনো সবজি খেতে নিষেধ থাকলে তা বাদ দিন। পালং শাক শীতের অন্যতম শাক। পুষ্টিতে ভরপুর পালংশাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়। এটি রাখতে পারেন।
প্রোটিনযুক্ত খাবার: পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন এ সময় গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন অর্থাৎ প্রাণিজ প্রোটিন যেমন ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি খেতে হয়। প্রতিদিন দুই বেলা মাছ খেতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ রাখুন। এছাড়া যারা এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তারা গরুর মাংস কিংবা মুরগির মাংস খেতে পারেন। গরুর কলিজা প্রোটিন জাতীয় খাবার, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিম, দুধ ও দই রাখা যেতে পারে খাদ্য তালিকায়।
ভিটামিন সি-যুক্ত সাইট্রাস ফল: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লেবু, কমলালেবু ও মাল্টা জাতীয় ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত।
ফাইবারযুক্ত খাবার: গোটা শস্য, ওটস, আপেল, বাদাম ইত্যাদি ফাইবারযুক্ত খাবার ওজন ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
অন্যান্য খাবার: আদা, তুলসী পাতা, পুদিনাপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ইত্যাদি খাদ্য উপাদান রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে আদা সাহায্য করে। আদার চা, আদা, লেবু, চা কিংবা আদা লবঙ্গ ইত্যাদির এবং এর সঙ্গে একটু তুলসী পাতা দিলে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। রসুন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ঠাণ্ডা জ্বরে উপকারী। হলুদ, পুদিনা ও ধনেপাাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।