মেরুদণ্ডের টিউমার

অস্ত্রোপচারের পূর্বপ্রস্তুতি

টিউমারের আকার ও অবস্থান নির্ধারণ করতে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষা করা।

রোগ নির্ণয় এবং পরিকল্পনা

  • টিউমারের আকার ও অবস্থান নির্ধারণ করতে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো ইমেজিং পরীক্ষা করা।
  • টিউমারটি বেনাইন (নন-ক্যান্সারযুক্ত) নাকি ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সারযুক্ত) তা পরীক্ষা করার জন্য একটি বায়োপসি করা হয় অনেক ক্ষেত্রে।

প্রিপারেটিভ মূল্যায়ন

  • রোগী অস্ত্রোপচারের জন্য যথেষ্ট সুস্থ কিনা তা নিশ্চিত করতে রোগীর রক্ত ​​পরীক্ষাসহ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করা হবে।
  • চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, ঝুঁকি, সুবিধা ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন।

অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুতি

  • অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন আগে রোগীকে কিছু ওষুধ গ্রহণ বন্ধ করার পরামর্শ দেয়া হতে পারে, যেমন রক্ত ​​পাতলা করে এমন ওষুধ।
  • অস্ত্রোপচারের আগে কয়েক ঘণ্টা খালি পেটে রাখার প্রয়োজন হতে পারে।

অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতে রোগীর বিশেষ যত্ন নেয়ার দরকার হয়। কারণ অ্যানেসথেসিয়া থেকে কিছু ঝুঁকি থাকে। পরবর্তী সময়ে আবার অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অস্ত্রোপচারের পরবর্তী জটিলতা এবং সুস্থ হওয়ার ওপর নির্ভর করে রোগীকে কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পুনরুদ্ধারের নিরীক্ষণ এবং অস্ত্রোপচারের স্থান মূল্যায়ন করার জন্য রোগীর চিকিৎসকের সঙ্গে ফলোআপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকবে।

টিউমার ম্যালিগন্যান্ট হলে অতিরিক্ত চিকিৎসা যেমন রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপির সুপারিশ করা যেতে পারে। হাসপাতাল ত্যাগ করার পর রোগীকে বিশ্রাম নিতে হবে এবং কার্যকলাপের বিধিনিষেধ, ক্ষতের যত্ন এবং ওষুধের বিষয়ে রোগীর চিকিৎসকের দেয়া নির্দিষ্ট নির্দেশাবলি অনুসরণ করতে হবে। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস লাগতে পারে, ব্যক্তি এবং অস্ত্রোপচারের মাত্রার ওপর নির্ভর করে। নিয়মিত ফলোআপগুলো রোগীর অগ্রগতি নিরীক্ষণ করতে এবং যেকোনো উদ্বেগের সমাধান করতে সাহায্য করবে।

আরও