ঘুরতে গেলে সমস্যা হয়: ভ্রমণ একজন মানুষের দৈনন্দিন রুটিন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে। সেজন্য দূরে কোথাও গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হয়। এছাড়া হাঁটাহাঁটি করতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল ও শাকসবজি রাখা জরুরি।
বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে নেয়: অনেকে মনে করেন, কোষ্ঠকাঠিন্য শরীরের বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে নেয়, যে সব বিষাক্ত পদার্থের কারণে আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি ও কোলন ক্যান্সারের মতো রোগ হয়। এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, এটি কোলন পরিষ্কার, ল্যাক্সেটিভ বা এনিমা ক্যান্সার অথবা অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
বয়স্কদের রোগ : অনেকের ধারণা এটি বয়স্ক মানুষের রোগ বা বয়স হলে এটি হয়। কিন্তু কোষ্টকাঠিন্যে সব ধরনের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এটি সাধারণ একটি রোগ এবং অনেক ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি ভালোও হয়ে যায়। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস থাকা সত্ত্বেও যদি তা নিরাময় না হয়, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
রক্ত বের হওয়া স্বাভাবিক : মলত্যাগের সময় রক্ত বের হওয়াকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নেয়। কিন্তু এমন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
ক্যাস্টর অয়েল উপকারী: এটি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কারণ দীর্ঘ সময় ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে কেউ গ্রহণ করে তাহলে অন্ত্রের পেশি, স্নায়ু ও টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যেরই কারণ হতে পারে।
কোলন পরিষ্কার সাহায্য করে: এনিমা ও কোলন পরিষ্কার (উচ্চ কোলন) শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে। কিন্তু এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ বা নিরাময়ের কার্যকর উপায় নয়। এনিমা আসলে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। কোলন পরিষ্কার সাধারণত কোলন হাইজিনিস্ট বা থেরাপিস্টদের দিয়ে করা হয়। এটি কোলনের ক্ষতি করতে পারে, সেই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।