দেশের বড় শহরগুলোয় নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে ইদানীং মূত্রনালিতে সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের মূত্রনালি সংক্রমণের হার বেশি। বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। কারণ দেশের শহর এলাকায় নারীদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা কম। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পাবলিক টয়লেট থাকলেও বেশির ভাগই ব্যবহার অনুপযোগী। এছাড়া অন্যান্য পাবলিক প্লেস, যেমন কর্মস্থল, শপিং মল, হাসপাতাল কিংবা পার্কের মতো জায়গায় ব্যবহার উপযোগী টয়লেট নেই।
এজন্য নারীদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেট চেপে রাখা এবং পথে যাতে টয়লেট না চাপে সেজন্য কিছু না খাওয়া, বিশেষ করে পানি পান না করার প্রবণতা দেখা যায়।
দীর্ঘ সময় পায়খানা ও প্রস্রাব চেপে রাখার ফলে নারীরা নানা রকম শারীরিক জটিলতার মধ্যে পড়েন। এজন্য মূত্রনালির সংক্রমণসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এটিকে ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা ইউটিআইও বলা হয়।
বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে ব্লাডারে যে জীবাণু জন্মায় তা থেকে এটি হয়। পরে তা অন্যান্য জটিলতারও সৃষ্টি করে। যেমন বারবার যদি কারো ইউটিআই হয় তাহলে তা নারীর প্রজনন ক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রস্রাবে ইউরিয়া ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের মতো টক্সিনজাতীয় পদার্থ থাকে। ফলে বেশিক্ষণ চেপে রাখার ফলে বিষাক্ত পদার্থ কিডনিতে পৌঁছে কিডনিতে স্টোন বা পাথর তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেট চেপে রাখার কারণে কত নারী সমস্যায় পড়েন কিংবা কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তা ঠেকাতে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, নারীদের নিজেদের শরীরের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
আর দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সরকারকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া কর্মস্থল, শপিং মল, হাসপাতাল ও পার্কের মতো পাবলিক প্লেসে টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানো এবং কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি