সঠিক সময়ে ইসোফ্যাজাইটিসের চিকিৎসা করা না গেলে এর জটিলতা আরো বাড়তে পারে। পরবর্তী সময়ে তা খাদ্যনালির গঠন ও কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। যার কারণে পরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
আলসার: ইসোফ্যাজাইটিস থেকে আলসার তৈরি হতে পারে। যার থেকে ব্যথা ও রক্তপাত হতে পারে।
অন্ত্রের ছিদ্র: আলসারের কারণে খাদ্যনালিতে গর্ত সৃষ্টি হতে পারে। ফলে বুকের গহ্বর বা রক্ত প্রবাহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ইসোফেজিয়াল স্ট্রিকচার: দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের কারণে খাদ্যনালি সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। এতে খাবার গিলতে অসুবিধা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করা না হলে ডিহাইড্রেশন, ওজন কমতে থাকা ও অপুষ্টি দেখা দিতে পারে।
ব্যারেটের খাদ্যনালি: এ অবস্থায় খাদ্যনালির আস্তরণের কোষগুলো অন্ত্রের অনুরূপ হয়ে যায়। এটিকে অন্ত্রের মেটাপ্লাসিয়াও বলা হয়, যা থেকে খাদ্যনালির ক্যান্সারের সূত্রপাত হতে পারে।
সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি
রিফ্লাক্স বাড়ায় এমন খাবার এড়িয়ে চলা: অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, চকোলেট ও পুদিনা স্বাদযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ট্যাবলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা: সর্বদা প্রচুর পানি দিয়ে ওষুধ খেতে হবে এবং তারপরে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য সোজা হয়ে বসে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজনও ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে পারে এবং নিম্ন অন্ননালি স্ফিঙ্কটারকে দুর্বল করে, রিফ্লাক্সের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
ঘুমানোর সরঞ্জাম ঠিক রাখা। যাতে ঘুমানোর সময় খাবার হজমে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।
খাদ্যনালির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে প্রায়ই জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনা জরুরি। ওষুধ ও কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতির দরকার হয়। সর্বোত্তম পন্থা খুঁজে পেতে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা করা হলে খাদ্যনালির সংক্রমণে আক্রান্ত যেকোনো মানুষ এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। ফলে খাদ্যনালির দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে।