অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস

ঝুঁকির কারণ ...

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে গবেষকদের মতে, ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক স্তরের পরিবর্তনের ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়।

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে গবেষকদের মতে, ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক স্তরের পরিবর্তনের ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এতে ত্বকের ক্ষতি ও প্রদাহের আশঙ্কা বাড়ে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের প্রদাহের কারণে চুলকানি সৃষ্টি হয়। চুলকানির কারণে ত্বকের অন্যান্য ক্ষতিও হয় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গবেষকদের মতে, ত্বকের বিভিন্ন পরিবর্তন নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর জন্য হতে পারে, যা ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যেমন

বংশগত কারণ: এ ধরনের রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গবেষকদের মতে, আমাদের শরীরে এমন এক ধরনের জিন রয়েছে, যা নির্দিষ্ট প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ এবং আমাদের দেহের ত্বকের একটি সুস্থ স্তর বজায় রাখতে সহায়তা করে। এ প্রোটিন স্বাভাবিক মাত্রায় না থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়, ফলে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস হয়।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা: রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সাধারণত মানুষের শরীরের অসুস্থতা, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কখনো কখনো এসব ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা ত্বকে প্রদাহ তৈরি করতে পারে, ফলে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে।

পরিবেশগত কারণ: পরিবেশের ওপর নির্ভর করে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। পরিবশেগত কারণেও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ত্বকের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে

•তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শ।

•বাযুদূষণ

•ত্বকের বিভিন্ন পণ্য ও সাবানে পাওয়া সুগন্ধি এবং অন্যান্য যৌগ।

•অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক।

আরও