করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকেন তাহলে সেরে ওঠার পরও তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিংবা করোনাভাইরাসের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও ফলোআপ করতে হবে। ছয় মাস পর চিকিৎসকের পরামর্শে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া জরুরি।
যারা আগে থেকেই হাইপারটেনশন, হার্টের জটিলতা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের সবসময় ফলোআপে থাকা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শে ইনসুলিন বা ওষুধের মাত্রা ঠিক করে নেয়া যেতে পারে।
এছাড়া খাবারের দিকে খুব নজর রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সুষম খাবার রাখা জরুরি। শাকসবজির পাশাপাশি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার যেমন পানি, ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আবার কভিড-পরবর্তী মানসিক স্থিতি ঠিক রাখতে মেডিটেশন, ধ্যান বা প্রার্থনা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে।
কভিড আক্রান্ত থাকার সময় হাসপাতাল বা বাড়িতে দিন রাত বিছানায় শুয়ে বিশ্রামের কারণে পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। পেশির গঠন ভালো করতে তাই নিয়মিত অল্প অল্প করে ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব না হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, বই পড়ে, গান শুনে বা নিজের শখের চর্চা করে মনকে উৎফুল্ল রাখা জরুরি। এর পরও যদি মানসিক স্বাস্থ্যে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সূত্র: বিবিসি