খাদ্যনালির প্রদাহ

ডায়েটে যা থাকবে আর যা পরিহার করবেন

খাদ্যনালির প্রদাহ থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যা খাওয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—

খাদ্যনালির প্রদাহ থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যা খাওয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—

ফল ও শাকসবজি:  কলা, আপেল, বেরি, গাজর, কুমড়া ও সবুজ শাকসবজির মতো কম অ্যাসিডযুক্ত ফল এবং শাকসবজি খাওয়া জরুরি। গ্যাস্ট্রাইটিস এড়াতে ডায়েটে থাকা শাকসবজি ও ফলগুলো অ্যাসিডিক হওয়া যাবে না।

আস্ত শস্যদানা: গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে ডায়েটে আস্ত শস্যদানা জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বাদামি চাল, আটার রুটি, গমের পাস্তা, ওটস, বার্লিজাতীয় খাবার। পেটে ফোলাভাব বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আলু ও সাদা ভাত খাওয়া জরুরি।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং ননফ্যাট প্লেইন দই খাওয়া যাবে। দইয়ে স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা পেট ও অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে।

প্রোটিন: ডিম, মাছ, চর্বিহীন মাংস, শিম ও মটরশুঁটি গ্যাস্ট্রাইটিসের জন্য উপকারী খাবার, কারণ এগুলোয় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এবং এটি পেটকে ভরা বোধ করতে পারে। এছাড়া চিকেন স্যুপও এ ধরনের রোগের জন্য ভালো।

সকালের নাশতায় ফল থাকা: তাজা ফল যেমন আপেল, কলা ও তরমুজ গ্যাস্ট্রাইটিস এড়াতে সাহায্য করে। এগুলো সকালের নাশতায় থাকা জরুরি।

পানীয়: পানীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গ্যাস্ট্রাইটিস-বান্ধব খাদ্য, পানি, পানিভিত্তিক পানীয় (চা বা কফি ব্যতীত) এবং বাদাম দুধের মতো পানীয় গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে। যদিও চিকিৎসকরা সাধারণত চা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। যেমন পেপারমিন্ট, আদা ও হলুদ চা গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলো কমাতে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

ফল ও শাকসবজি খাদ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবে গ্যাস্ট্রাইটিসের ক্ষেত্রে কিছু খাবার এড়ানো উচিত। অ্যাসিডিক ফল, যেমন সাইট্রাস ফল (কমলা, লেবু, চুন) ও টমেটো, সেই সঙ্গে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ এবং মরিচের মতো শক্তিশালী গন্ধযুক্ত মসলাদার সবজি এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের ফল ও শাকসবজি প্রায়ই পেটের আস্তরণে জ্বালাতন বাড়ায়।

শর্করাজাতীয় খাবার এড়ানো জরুরি। যেমন নুডলস, পাস্তা।

দুগ্ধজাত পণ্য যেমন যেগুলোয় ফ্যাট বেশি থাকে, সেগুলো পেটে আস্তরণে জ্বালাপোড়া বাড়ায়। পেট খারাপ করে। পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ, মাখন ও ঘি গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে এড়ানো উচিত। এমনকি দুগ্ধজাত দ্রব্য ব্যবহার করে তৈরি আইসক্রিম, পনির, সস ও পুডিং এড়ানো উচিত।

পোলট্রি মুরগির কলিজা, লাল মাংস ও মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ এড়িয়ে চলতে হবে।

বেশির ভাগ প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত খাবার, যেমন বেকড আইটেম, পেস্ট্রি, কেক, চকোলেট, চিপস, পিৎজা ইত্যাদিতে চর্বি ও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এ-জাতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো খাওয়া যাবে না।

চিনিযুক্ত পানীয়, কফি, সোডা ও অম্লীয় ফলের রস, যেমন কমলার রস এড়ানো উচিত। এমনকি টমেটোর রস এবং এর ব্যবহার এড়ানো উচিত, কারণ টমেটো অম্লীয় প্রকৃতির। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ছাড়াও ডিক্যাফিনেটেড কফিও ক্ষতিকর। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। অন্যান্য ধরনের ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ও পানীয়, যা এড়িয়ে চলতে হবে তার মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি ও এনার্জি ড্রিংকস। কারণ এগুলোয় উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে।

আরও