রক্তের সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এ সময় রক্তের প্রবাহ কমে যায়, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলে। কোনো ব্যক্তি সেপসিসে আক্রান্ত হলে তার রক্তনালির ব্যাপ্তিযোগ্যতা বেড়ে যায়, ফলে রক্তের সরবরাহ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি অঙ্গগুলোকে দুর্বল করে তোলে।
সেপসিসের কারণে সেপটিক শক বাড়ে, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয়। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে শরীরের কোনো অঙ্গ বা টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে একটি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ইমিউন সিস্টেম সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। গুরুতর প্রদাহ হলে তা কোনো অঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে। বিশেষ করে যেসব রোগী দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগে আক্রান্ত। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অন্যান্য সাধারণ মানুষের তুলনায় কম থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। রক্তের সংক্রমণ হওয়ার কারণে ফুসফুস ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে রোগীর স্নায়বিক বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
রক্তের সংক্রমণের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধার ফলে টিস্যুতে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, টিস্যু মরতে শুরু করে। একটি অঙ্গে রক্তপ্রবাহে দীর্ঘস্থায়ী বাধা স্থায়ী ক্ষতি ও অঙ্গের মৃত্যুর কারণ হতে পারে, প্রায়ই অঙ্গচ্ছেদের প্রয়োজন হয়।
সেপসিস-পরবর্তী লক্ষণ: দেখা গেছে যে সেপসিস সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা করা হলেও রোগী কয়েক মাস ধরে পোস্ট-সেপসিসের লক্ষণ নিয়ে বেঁচে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার পর যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, অবসাদ ও অনিদ্রা।