কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্তদের খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা লাগে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্যের জটিলতা কিছুটা হলেও কমানো যায়
- আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন আপেল, পাকা কলা, নাশপাতি ও আঙুর। এগুলোয় যথেষ্ট আঁশ থাকে। পাকা পেঁপে, পাকা বেলের শরবত ও অ্যালোভেরা জুস—এ খাবারগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্তের জন্য উপকারী।
- সব ধরনের শাক। যেমন পুঁইশাক, পালংশাক, লালশাক ও কচুশাক ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের সবজি। যেমন ঢেঁড়স, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও কচুরলতি।
- নিয়মিত টকদই খাওয়া। কারণ তা পরিপাকতন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের বীজজাতীয় খাবার খাওয়া। দিনে দুই-তিনবার তোকমা দানা, ইসবগুলের ভুসি বা চিয়া সিড খাওয়া খুব উপকারী।
- তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ফলের জুসও খাওয়া যেতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আয়রন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় ওষুধের কারণে এ রোগ হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
- শর্করা হিসেবে লাল আটা, লাল চাল খাবার তালিকায় রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
যেসব খাবার খাওয়া যাবে না
- কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন কাঁচকলা, ময়দার তৈরি খাবার।
- চা-কফি জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার যেমন পিৎজা, বার্গার খাওয়া কমাতে হবে। এছাড়া প্যাকেটজাত খাবার এবং ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- রেডমিট এড়িয়ে চলতে হবে।
- রান্নায় মসলার পরিমাণ কমাতে হবে।
- কিছু শুকনা খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন মুড়ি, চিড়া, গুঁড়া দুধ ও বিস্কুট।