রক্তের সংক্রমণ ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক রক্তপ্রবাহে আক্রমণ করে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে মানুষ সেপসিসে আক্রান্ত হতে পারে। মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অতিরিক্ত কাজ করার ফলে এ সেপসিস হতে পারে। এ প্রতিরোধক্ষমতা কেবল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিবর্তে শরীরের অন্য অংশগুলোয়ও আক্রমণ শুরু করে।
একপর্যায়ে মানুষের অঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। এমনকি বেঁচে থাকা মানুষেরও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও অক্ষমতা নিয়ে চলতে হতে পারে। যেসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া সংক্রমণ বা ফুসফুসের রোগ হয়ে থাকে, সেগুলোই সেপসিস হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সেপসিসে আক্রান্ত হয়। মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৫ শতাংশ সেসব এলাকার।
সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে শিশুরা। পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০ জন শিশুর মধ্যে চারজনের সেপসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তবে যুক্তরাজ্যের জন্য সেপসিস একটি চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। স্পেন, ফ্রান্স ও কানাডার মতো দেশের চেয়ে ব্রিটেনে সেপসিসে মৃত্যুর হারও বেশি।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে সেপসিসের কারণে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ মারা যায়।
সেপসিস প্রতিরোধে করণীয়
সংক্রমণের সংখ্যা কমিয়ে আনার মাধ্যমে সেপসিসে আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যেতে পারে।
অনেক দেশের ক্ষেত্রে সেপসিস প্রতিরোধের উপায় হলো সুষ্ঠু পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি এবং সঠিক সময় সঠিক টিকার জোগান। আরেকটি মূল সমস্যা হলো সঠিক সময়ে এ রোগ চিহ্নিত না হওয়া। যত দ্রুত এ রোগীদের চিহ্নিত করা যাবে, তত দ্রুতই এ রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা যাবে। অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।