রিউমেটিক ফিভার

প্রচলিত ভুল ধারণা...

এ রোগ নিয়ে সমাজে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। এ রোগের চিকিৎসায় এটি বড় রকমের সমস্যা। অনেকের ধারণা বাতজ্বর মানে গিরেব্যথা।

এ রোগ নিয়ে সমাজে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। এ রোগের চিকিৎসায় এটি বড় রকমের সমস্যা। অনেকের ধারণা বাতজ্বর মানে গিরেব্যথা। অবহেলার করলে এ রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যেমন হার্টের ভালভ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

অনেকে মনে করেন, পেনিসিলিন ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, আসলে পেনিসিলিন ওষুধ বা ইনজেকশন হার্টের ভালভ ভালো রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে ব্যথা কমানোর কোনো ব্যাপার নেই। 

অনেকেই মনে করেন, বাতজ্বর হলে পুরো শরীর ব্যথা হবে। আসলে তা নয়। এ রোগ হলে শরীরের জয়েন্টগুলোয় ব্যথা হয়। চিকিৎসা করেন আর না-ই করেন, দেখা যায় যে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা কমে যায়। যাদের দীর্ঘদিন ব্যথা স্থায়ী হয় তাদের বাতজ্বর হওয়ার আশঙ্কা কম। 

আবার অনেকে মনে করেন যেকোনো বয়সে বাতজ্বর হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে বাতজ্বর মূলত শিশুদের অসুখ। এ রোগ সাধারণত ১৫-১৮ বছর বয়সেই বেশি হয়। ২৫ বছর বয়সের পর বাতজ্বর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

বাতজ্বরের ব্যথা একটি গিরা থেকে কমে আরেকটি গিরায় চলে যায়। বুক ধড়ফড় করতে পারে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। চামড়ায় র‌্যাশ হতে পারে। কখনো কখনো ব্রেনে কিছু অ্যাবনরমাল মুভমেন্ট হয়। জ্বর থাকতে পারে এবং হার্টে ব্লক থাকতে পারে। গলায় এএসও টাইটার দেখা দেয়। 

তবে এএসও টাইটার দেখার পরই বাতজ্বরের চিকিৎসা শুরু করা কখনই যুক্তিসংগত নয়। রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। তা না হলে ভুল চিকিৎসার কারণে অন্য জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আরও